২০ হাজার মিটার অবৈধ ঘেরা ও ভাসা জাল জব্দ

75

দেশের মিঠা পানির কার্প (রুই, কাতাল, মৃগেল ও কালিবাইশ) জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীতে অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকারের সময় ২০ হাজার মিটার ঘেরা ও ভাসা জাল জব্দ করা হয়।
হালদা নদীতে কাজ করা সংগঠন ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (আইডিএফ) এর লোকজন এসব অবৈধ জাল উদ্ধার করে। এরপর জালগুলো হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমীনের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানান হালদা প্রকল্প আইডিএফ’র কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। এ সময় নদী থেকে অবাধে মাছ শিকার করার জন্য পাতানো প্রায় ২০ হাজার মিটার ভাসা ও ঘেরা জাল জব্দ করা হয়। অভিযান চলাকালে বিশেষ করে হালদা নদীর মোহনা, ছায়ারচর ও মদুনাঘাট এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি জাল জব্দ করা হয়।
হালদা নদীর মা-মাছ ও কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র রক্ষা করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমীন বলেন, চলতি সময়টি কার্প জাতীয় মাছের প্রজননের মৌসুম। এর প্রাক্কালে জাল পেতে মা-মাছ নিধন করলে হুমকির মুখে পড়বে কার্প জাতীয় মাছ। এজন্যে হালদা নদীতে দিবারাত্রি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মা মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হালদাকে বাঁচাতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলছে বলে জানান ইউএনও।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে জব্দ হওয়া এসব ঘেরা ও ভাসা জাল উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমীন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও আইডিএফ কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৯৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে কার্প জাতীয় মাছ ডিম ছেড়ে থাকে। এ কারণে হালদায় সারাবছর মাছ ধরা ও ড্রেজারসহ ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অসাধু কিছু ব্যক্তি নদীতে অবাধে ড্রেজার চলাচলের পাশাপাশি ঘেরা ও ভাসা জাল পেতে মাছ শিকার করছে। ফলে হালদায় প্রতিবছর কার্প জাতীয় মা-মাছের সংখ্যা কমছে।