২০১৮ সালে অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে পাঁচ শতাংশ, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

12

২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র ব্যবসার পরিমাণ প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে এবং অস্ত্র বিক্রির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর বিশ্বের প্রধান ১০০টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে। সোমবার স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এসআইপিআরআই’র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০২ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে গোটা পৃথিবীতে অস্ত্র ব্যবসার পরিমাণ বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে বিশ্বের প্রধান ১০০ টি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা ৪২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে। ২০১৭ সালের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। ২০১৮ সালে অস্ত্র বিক্রির দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে রাশিয়ার অবস্থান। এ দেশটি বিশ্ব অস্ত্র বাজারের শতকরা ৮.৬ ভাগ অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এরপরেই রয়েছে ব্রিটেন।
এ দেশটি মোট অস্ত্রের শতকরা ৮.৪ এবং ফ্রান্স ৫.৫ ভাগ অস্ত্রের যোগান দিয়েছে। এসআইপিআরআই’র গবেষণা প্রতিবেদনে চীনের বিষয়টি উঠে আসেনি কারণ বেইজিং থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় নি। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে যে, অস্ত্র বিক্রির তালিকায় চীনের অবস্থান তিন থেকে সাতের ভেতরে থাকতে পারে। চীন ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর তার মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ১.৯ ভাগ প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ব্যয় করে আসছে। চীনের সংখ্যাটি যোগ করলে শতাংশের হিসেব আরও অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র ব্যবসা সব চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে প্রথম পাঁচটি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা গত এক বছরে সর্বাধিক ব্যবসা করেছে। ইউরোপের সংস্থাগুলোর ব্যবসা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি, বরং শতাংশের হিসেবে সামান্য কমেছে। রাশিয়ার সংস্থাগুলোরও ব্যবসা পড়েছে ০.৪ শতাংশ। তবে ইউরোপ এবং রাশিয়াকে বহু পেছনে ফেলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম পাঁচটি অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা গত এক বছরে ব্যবসা বাড়িয়েছে ৫.৮ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে মার্কিন সংস্থা বিপুল পরিমাণ এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান বিক্রি করেছে। সে কারণেই তাদের ব্যবসা এত বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মার্কিন অস্ত্র ব্যবসায় মন্দা আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং চীনকে সব চেয়ে বড় প্রতিযোগী বলে মনে করে। ট্রাম্প সরকারের লক্ষ্যই হলো সামরিক খাতে দেশকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। ফলে মার্কিন সরকার অস্ত্র কেনা কমাবে না। এসআইপিআরআই’র পরিচালক অদি ফ্লুর্যান্ট বলেন, আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের অস্ত্র বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।