২০১২ সালের ভ্যাট আইনের প্রস্তাব নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়াবে

18

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২০১২ সালের ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়বে। প্রস্তাবিত বাজেট পেশ হলেও এরইমধ্যে বাজারে দুধ, চিনিসহ আরও কয়েকটি পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি শুরু হয়েছে। তাছাড়া একক কর হার ১৫ শতাংশ ছাড়াও ৫ শতাংশ, সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ করারোপের বিধান করায় ক্রেতা-ভোক্তারা বাড়তি কর পরিশোধে বাধ্য হবেন।
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাব জানায়, দেশে আমদানির ওপর আরোপিত ২০১৭ শুল্ক হার গড়ে ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে গড় আমদানি শুল্ক হার ছিলো ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশে গড় হার ছিলো ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমদানি শুল্ক হার আরও হ্রাস করা প্রয়োজন। এক গবেষণার উদ্বৃতি দিয়ে সংস্থাটি জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে ভোক্তাদের অতিরিক্ত ১৪ হাজার ২২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, আমাদের আশা ছিলো অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেটে শুল্কনীতি পর্যালোচনা করে আমদানি শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ নেবেন, কিন্তু তা করেননি। এর বিপরীতে গুড়োদুধ ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ দুধ আমাদের শিশু খাদ্য, অতি প্রয়োজনীয়। আমাদের প্রস্তাব থাকবে গুড়োদুধের শুল্ক প্রত্যাহারে। বার্তা সংস্থার খবর