১৮০ যাত্রীর সবাই নিহত

98

ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ১৮০ জন আরোহীই প্রাণ হারিয়েছে। গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার সকালে তেহরানের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। প্লেনটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিধ্বস্ত হয়। খবর বাংলানিউজের
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রূটির কারণে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে যাত্রী-ক্রু মিলে মোট ১৮০ জন আরোহী ছিল। যাদের কেউ-ই আর বেঁচে নেই বলে জানা গেছে।
প্লেনটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই সেটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে।
ইরানের অ্যাভিয়েশন সংস্থার মুখপাত্র রেজা জাফর জাদেহ বলেন, ঘটনাস্থলে অ্যাভিয়েশন বিভাগের তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। পরে এ ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে বিধ্বস্ত প্লেনের একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০১৯ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১৬ আরোহীর ১৫ জনই প্রাণ হারিয়েছিল। ২০১৪ সালে তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ৪৮ আরোহী নিয়ে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। সেসময় ৩৯ জন নিহত হয়েছিল।
জানা গেছে, দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের মধ্যে ৮২ জন ইরানিয়ান, ৬৩ জন কানাডিয়ান ও তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক। তবে বাকি আরোহীদের নাগরিকত্ব পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান উত্তেজনার মধ্যে প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনাকে অনেকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে ‘আশঙ্কা’ করছেন। তবে বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে ইরানে অবস্থিত ইউক্রেনের দূতাবাস জানিয়েছে, প্লেনটির ইঞ্জিনে ত্রূটির কারণে বিধ্বস্ত হয়, কোনো ধরনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলার ঘটনা ঘটেনি।