‘১৬ আর ৭০ বছর বয়সে সবচেয়ে সুখী থাকে মানুষ’

36

১৬ বছর বয়সে মানুষ সবচেয়ে সুখী থাকে। মাঝের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে ৭০ বছর বয়সে আবারও সবচেয়ে সুখী বোধ হয় তাদের। বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য রেজোল্যুশন ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। মানুষের বয়স, আয়ের পর্যায়, আবাসন-এগুলো ভেদে সুখের মাত্রা পর্যালোচনা করা হয়েছে। মানুষের আনন্দ, জীবন নিয়ে সন্তুষ্টি ও কম উদ্বেগকে মানদন্ড হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০ এর কোটার মাঝামাঝি বয়স থেকে ৫০ বছরের আগে পর্যন্ত মানুষের সুখ নির্ধারণের মানদন্ডগুলোর পতন হতে থাকে। অর্থাৎ মানুষের আনন্দ ও জীবন নিয়ে সন্তুস্টি কমতে থাকে ও উদ্বেগ বাড়তে থাকে। এরপর আবার মানুষের বয়স ৭০ এ পৌঁছানো পর্যন্ত এ অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। বয়সের ভিত্তিতে সুখের মাত্রা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ ও ৭০ বছর বয়সে মানুষ তাদের জীবনের সর্বোচ্চ সুখী অবস্থায় থাকে। রেজোল্যুশন ফাউন্ডেশনের গবেষণা ও নীতি বিশ্লেষক জর্জ বাংহাম বলেছেন, ‘ভালো থাকাটা আমাদের সবার কাছে খুব জরুরি বিষয়। তারপরও সবেমাত্র আমরা মানুষের সুখ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছি। এসব তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের জিডিপি’র থেকেও জীবনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে। তবে অর্থনীতির পেছনে ভূমিকা রাখা কর্মসংস্থান ব্যবস্থা ও আয়ের ধরনও আমাদের সুখের মাত্রা নির্ধারণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে।’ ‘হ্যাপি নাও?’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি থেকে জানা গেছে, ভালো স্বাস্থ্য, ভালো চাকরি ও ভারো সঙ্গীর ওপর ভালো থাকার বিষযটি সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে। তবে বয়স, আয়ের মাত্রা, আবাসন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর ভিত্তি করেও সুখের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বেশি ভালো থাকার কথা জানিয়েছেন। আবার বেকার কিংবা অর্থনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় মানুষদের তুলনায় চাকরিজীবী মানুষরা তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো থাকেন। তাছাড়া সুস্থ মানুষেরা তুলনামূলকভাবে বেশি সুখ বোধ করে থাকেন।