১২ মে’র মধ্যে সব টিভি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে

57

বাংলাদেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল আগামি ১২ মে’র মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে স¤প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সচিবালয়ে গতকাল সোমবার বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এক বছর পূর্তি হবে। ১২ মে নাগাদ দেশের সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ টেলিভিশনগুলোকে তিন মাস বিনামূল্যে সেবা দেবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে টেলিভিশন স¤প্রচারের ডেটা গাজীপুরের সজীব ওয়াজেদ গ্রাউন্ড স্টেশনে নেওয়া হবে। সেখান থেকে আপলিঙ্ক এবং ডাউনলিঙ্কের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ সবার সঙ্গে আলোচনা করে টেলিভিশনগুলো কি দরে স্যাটেলাইট ব্যবহার করবে তা নির্ধারণ করবে’।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে কেবল অপারেটরদের প্রথম দিকের সিরিয়ালে রাখার কথা। আমরা আজকেও পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা সব কেবল অপারেটরদের নোটিফাই করব যে, বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে তারা একই সিরিয়ালে রাখবে। প্রথমে সরকারি চ্যানেল, এরপর সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী চ্যানেলগুলো সিরিয়ালে থাকবে, পরে বিদেশি চ্যানেলগুলো থাকবে’। খবর বিডিনিউজের
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন দন্ডীয় অপরাধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কেবল অপারেটরদের নোটিফাই করেছি। আবার নোটিস জারি করব। ১ এপ্রিলের পর কেউ যদি এ নিয়ম ভঙ্গ করে, সরকারের এই নির্দেশনা পালন না করে, তাহলে আমরা এনফোর্সমেন্টে যাব’। খবর বিডিনিউজের
অ্যাটকোর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা যে কটা চ্যানেল আছি, সম্মিলিতভাবে একটি বা দুটি বান্ডেলে অথবা একই বান্ডেলে আমরা পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই। কেবল আপারেটররা যে সাবস্ক্রিপশন ফি দর্শকদের কাছ থেকে নেয়, তার অত্যন্তযৌক্তিক একটা অংশ আমরা আমাদেরকে দেওয়ার আবেদন করব এবং সেভাবে আমরা লঞ্চ করব’। দেশের টেলিভিশন শিল্প রুগ্ন হয়ে পড়ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপন মার্কেট ছোট এবং বিজ্ঞাপন যতপুকু ছিল তার একটা বড় অংশ বিদেশে পাচার হচ্ছে। আরেকটা বড় অংশ ডিজিটাল মিডিয়ামে অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে আমরা মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। তার কাছ থেকে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি’।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ ছাড়াও অ্যাটকোর কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।