১২ জনকে আসামি করে মামলা আটক ১

60

চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্যসহ আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন মোবাইল টিম-২০ এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার পিএসআই আবু বক্কর ছিদ্দিক। গত ২৪ মার্চ রাত পৌনে ৯টায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি। এ মামলায় ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, নির্বাচনী সরঞ্জামাদি ছিনতাই, ব্যালটে সিল মেরে জাল ভোট প্রদানের লক্ষ্যে ৫০/৬০ জন অস্ত্রধারী কেন্দ্রে আক্রমণ করে। এ সময় তাদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে নিজামপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ আলম আহত হয়। অপরদিকে মোবাইল কোর্টের কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে চন্দনাইশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সরওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ৪৩ রাউন্ড রাবার, ১২ রাউন্ড সিসা কার্তুজসহ ৫৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগে আরো বলা হয় আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, শর্ট গান, পিস্তল, এলজি, কিরিচ, লোহার রড ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মোবাইল কোর্ট এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা পিএসআই আবু বক্কর ছিদ্দিক বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা চৌধুরীপাড়ার ইয়াছিন আরাফাত (৩৫), আবদুল নুর তুষার (২৮), শিক্ষক মো. আলী (২৫), মাহামুদুর রহমান নয়ন (৩২), মাহাবুব চৌধুরী (৩৮), মো. রিয়াদ (২০), ছৈয়দাবাদের মো. ফারুক (২৭), হারলার মো. লোকমান (৩২), মো. হোসেন (৩২), আজিজুল ইসলাম খোকা (২৮), মো. রবিউল (২৪), নয়াহাটের মো. টিটু (২৮) সহ ৩০/৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলার এজাহার নামীয় আসামি শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে গতকাল ২৫ মার্চ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আসামি মাহামুদুর রহমান নয়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চৌধুরীপাড়া এলাকার যুবকরা গ্রেপ্তার আতংকে ছিল বলে জানা যায়।
এদিকে গত ২৪ মার্চ গভীর রাতে যুবলীগ নেতা ইয়াছিন আরাফাতের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। এ সময় তার ঘরের আসবাবপত্র, দরজা-জানালা ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। অন্যদিকে ঘরের মূল্যবান কাপড়-ছোপড়, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে তার পরিবারের সদস্যারা অভিযোগ করে। এ ব্যাপারে থানান অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্ত্তী বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই শোনেন নাই। তাকে কেউ কোন অভিযোগ দেন নাই। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে তিনি জানান।