১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র

27

রোহিঙ্গা শরণার্থী, তাদের আশ্রয়দাতা কক্সবাজারের জনগণ এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় আরও ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। দুই বছর আগে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গা ঢল শুরুর পর থেকে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় সবচেয়ে বেশি সহায়তা দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একটি। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত তারা ৬৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।-খবর বিডিনিউজের
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র একা এই বিপুল চাহিদা পূরণ করতে পারে না। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কিছু দেশ মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে আমরা তাকে স্বাগত জানাই। অন্যান্য দেশ ও অংশীদারদের প্রতিও একই ভূমিকা রাখার জন্য আমরা আহŸান জানাচ্ছি।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা, জরুরি আশ্রয়, খাবার, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, মনোসামাজিক সহায়তা, শিক্ষা এবং পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নতুন এই তহবিলের আওতায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি বৃদ্ধিতে কর্মসূচির পাশাপাশি এই শরণার্থীদের শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে কাজ করা হবে।
শরণার্থী শিবিরে যাতে অস্থিরতা তৈরি না হয় এবং মিয়ানমারে যুতসই পরিবেশ হলে তারা যাতে স্বেচ্ছায় ফিরে যায় সেজন্য এই জনগোষ্ঠীকে প্রস্তুত করতে এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই মানবিক সংকটে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা পৌঁছাতে অব্যাহত কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর কাছে যাতে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা পৌঁছানো অব্যাহত থাকে সে বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এই ব্যক্তিরা যাতে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়ে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং স্থায়ীভাবে ফিরতে পারে সেই পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারের প্রতিও আমরা আহ্বান অব্যাহত রাখছি। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যাতে বার্মিজ পাঠক্রম অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়া যায় সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতেও আমরা মিয়ানমার সরকারকে উৎসাহিত করছি। এটা মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক তরুণ রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে।