১১৯ বিজিবি সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত

26

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জারি করা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১ হাজার ১৩৪ জনের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত ১১৯ জনের ক্ষেত্রে স্থগিত করে দিয়েছে হাই কোর্ট। গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ১১৯ জনের করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ। আব্দুল কাইয়ূম পরে বলেন, ‘গেজেট বাতিল আইনানুগ না হওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সেটি চ্যালেঞ্জ করে দু’টি রিট আবেদন করেছিলেন। আদালত সে দু’টি রিটের শুনানি নিয়ে ১১৯ জনের ক্ষেত্রে গেজেটটি স্থগিত করেছেন। নিয়মিত আদালত খোলা না পর্যন্ত গেজেটটি স্থগিত থাকবে’।
এ আইনজীবী বলেন, ‘এরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিডিআর-এ যোগ দিয়েছিলেন। বিডিআর তো সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডেই ছিল। পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই ও স্বচ্ছ একাটি চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেই গেজেটটি বাতিল করে আবার আরেকটি গেজেটে নেওয়ার জন্য আবার তাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এক ব্যক্তি কতবার যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যাবেন! এটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান, হয়রানি’।
গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের যুক্তি কি, জানতে চাইলে আইনজীবী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ‘গেজেট বাতিলের যে প্রজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে, সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে তারা সেটি করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশে। কিন্তু গেজেট বাতিলের সুপারিশ করার এখতিয়ার জামুকার নেই। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২ -এ গেজেট বাতিলের সুপারিশের কোনো সুযোগ নেই। যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে সেই ব্যক্তির মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের জন্য জামুকা সুনির্দিষ্টভাবে সুপারিশ পাঠাতে পারে। কিন্তু এরকম বড় পরিসরে গেজেট বাতিলের সুপারিশ জামুকা করতে পারে না, এখতিয়ার নেই’।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জারি করা ১ হাজার ১৮১ জনের গেজেট বাতিল করে গত ৭ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সে প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে বাগেরহাটের সদর উপজেলার বেগুরগাতি গ্রামের মোল্লা মোশাররফ হোসেনসহ ৮৭ জন এবং টাঙ্গাইলের সদর উপজেলারে বেথবাড়ীর ফজলুল হকসহ ৩২ জন এ দুটি রিট করেন। এর আগে আরেকটি রিটে গত ১৭ জুন শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার মো. আবু তাহেরের ক্ষেত্রেও গেজেটটি স্থগিত করেছিল হাই কোর্ট। খবর বিডিনিউজের