১০ দিনের মধ্যে মশার প্রাদুর্ভাব কমবে

110

করোনায় চলমান কার্যক্রম নিয়ে সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স যুক্ত হোন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রথম দিন থেকেই মাঠে থাকার কথা জানান। এছাড়া করোনায় মোকাবেলার সিটি করপোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মশা নিধনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাউন্সিলরদের সাথে মিটিং করে মশা নিধনে ওষুধ ছিটাচ্ছি। গত বছর যখন সারাদেশে ডেঙ্গুরোগ দেখা দেয়, তখন আমাদের চট্টগ্রাম ডেঙ্গুমুক্ত ছিল, কেননা আমরা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মশার প্রাদুর্ভাব সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান মেয়র।
গতকাল সকাল ১০টায় গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রতিনিধির সাথে কথা বলার পর মেয়রের বক্তব্য জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ৮ মার্চ থেকে করোনা বিষয়ে লিফলেট ও মাইকিং করে সচেতনতা সৃষ্টি করেছি। রাস্তায় রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটিয়েছি, যাতে নগরীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ না হয়। আমি ডে ওয়ান থেকে মাঠে থেকেছি চট্টগ্রামবাসীকে স্বস্তিতে রাখতে। জেলা প্রশাসন, বিভাগী প্রশাসন, মেডিকেল, পুলিশ সবাই সমন্বয় করে কাজ করছি। চট্টগ্রামে কোন সমন্বয়ের অভাব নেই।
মেয়র আরও তুলে ধরেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন সচেতনতার বার্তা দিচ্ছি, যাতে একটা মানুষও বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বের না হন। চসিকের স্বাস্থবিভাগ রয়েছ, যেখানে ১৫৬ জন কোয়ালিফাইড ডাক্তার রয়েছেন। তাদের প্রতি নির্দেশনা রয়েছে ৪১টি ওয়ার্ডের একটি সেন্টারও যাতে ডাক্তার শূন্য না থাকে। কন্ট্রোলরুম থেকে ২৪ ঘণ্টা নগরবাসীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি বরাদ্দের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, আপনার পক্ষ থেকে যা বরাদ্দ পেয়েছি তা আমিসহ কাউন্সিলররা মিলে লক্ষাধিক পরিবারে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। যারা মধ্যবিত্ত, লজ্জায় কাউকে বলতে পারছেন না, খবর নিয়ে নীরবে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছি।