হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ

112

পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান জাতীয় চেতনামন্ডিত সুস্থধারার নির্মল সংস্কৃতির বিকাশ ঘটিয়ে অপসংস্কৃতির রাশ টেনে ধরার আহব্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রযুক্তির অবাধ বিকাশ জাতীয় ও জনজীবনে যথেষ্ট গতিশীলতা আনলেও যুব সমাজ তা ইতিবাচকভাবে রপ্ত না করে প্রযুক্তির অন্ধকার গলিতে ঢুকে নিজেদের সম্ভাবনা ও শক্তির বিনাশ ঘটাচ্ছে। দেশের কোটি তরুণ আজ বেকার। তাদের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল। অনেকেই আজ মাদকাসক্ত এবং জঙ্গীবাদে লিপ্ত। অযথা মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত থেকে মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট করে যুব-তরুণরা শুধু নিজেদের নিঃশেষ করে দিচ্ছে তা নয়, বেকার কুপথে পরিচালিত এই যুব সমাজের কারণে দেশের অগ্রগতিও থমকে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করে বিশাল তারুণ্য শক্তির মেধা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তির চোরা গলি থেকে তাদের বেরিয়ে এনে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে ও দেশ গঠনে তাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী জাতীয় পরিকল্পনা দরকার বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন।
বুধবার সকালে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যানের অফিসে সাক্ষাতে মিলিত হন হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। এসময় পরিষদের চেয়ারম্যান পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্ বলেন, বুনিয়াদি ইসলামী সংস্কৃতির আরো প্রসার ঘটাতে হবে। হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ মূলধারার সংস্কৃতি চর্চায় আগামী দিনে জোরালো ভূমিকা রাখবে। তিনি হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে আগামী ১ সেপ্টেম্বর রবিবার চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে হিজরি ১৪৪১ নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে সকলের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেন।
পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা আল্লামা নুর মুহাম্মদ আলকাদেরী, আল্লামা আবুল হাশেম শাহ্, ভাইস চেয়ারম্যান আবু নাছের মুহাম্মদ তৈয়ব আলী, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, মহাসচিব মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, মুহাম্মদ শফিউল আলম, সাংস্কৃতিক সচিব মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, মাওলানা মঈনুদ্দীন রেজভী, মুহাম্মদ হাবিবুল মেস্তফা সিদ্দিকী, মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন সিদ্দিকী, মুহাম্মদ জুয়েল, মুহাম্মদ মিজবাহ্ উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি