হাসপাতালে ভর্তি ৬ জন

93

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। এছাড়া রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ২ ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শব্দমিয়া পাড়ার ফয়জুল হক, মহিলা কলেজ এলাকার পাইসাচিং মারমা, সবুজবাগ এলাকার স্বপ্ন ও পানখাইয়াপাড়া এলাকার সঞ্জু চাকমা। ৪ জনই রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ডেগু জ্বরে আক্রান্ত ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেও ২ জন চিকিৎসা নিয়ে এরই মধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ফয়জুল হক ও পাইসাচিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ফয়জুল হকের বড় ভাই জিয়াউল হক বলেন, কোম্পানির কাজে গত সপ্তাহে ঢাকা গিয়েছিল ফয়জুল। ফিরে আসার পর থেকে জ্বর ছিল। কয়েক দিনে জ্বর ভাল না হওয়ায় রক্ত পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী পাইসাচিং মারমা জানান, ঢাকায় একটি হোস্টেলে থাকাবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এরপর বাড়ি এসে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। একই অবস্থা অসুস্থ বাকি দুইজনের। তারাও ঢাকায় অবস্থানকালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়িতে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন।
ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিভিল সার্জন ও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়ন ময় ত্রিপুরা বলেন, চারজন রোগীই রাজধানী ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ৪ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা উন্নতি হওয়ায় তাদের রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আরও ২ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী মশা নিধন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সকলকে বসত বাড়ি ও অফিস আদালতের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহŸান জানান তিনি।
অন্যদিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজন কলেজছাত্রী শোভা চাকমা (১৯), অন্যজন শিশু। গত কয়েক দিন ধরে তাদের পর্যবেক্ষণের পর ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শওকত আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কলেজ ছাত্রী ঢাকা থেকে এ রোগ নিয়ে রাঙামাটিতে এসে হাসপাতালে ভর্তি হন। শিশুটি রাঙামাটি শহরের বনরূপা শশী দেওয়ান পাড়ার। তারা আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে রাঙামাটিতে গত ছয় মাসে ২ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া গেছে। তবে এ পর্যন্ত কেউ মারা যাননি। সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জেলা উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ম্যালেরিয়ার উপর তাদের মাঠকর্মীদের গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার।
তিনি বলেন, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রয়েছে পর্যাপ্ত ওষুধ। তবে আমরা ম্যালেরিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি না। তবে ডেঙ্গু নিয়ে ভাবছি। ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে। উপজেলায় ডেঙ্গু কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তারা জেলার সাথে যোগাযোগ করবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, রাঙামাটিতে পরীক্ষা করে পাওয়া শিশুটি সত্যিকারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কিনা তা জানতে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম রাঙামাটিতে আসবে।