হালদা নদী থেকে অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ

63

দিবারাত্রি একের পর এক অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মিঠা পানির রুই জাতীয় (রুই, কাতাল, মৃগেল ও কালিবাইশ) মা-মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী থেকে অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করে যাচ্ছে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন। গত দুই দিনে পৃথক অভিযানে সাড়ে ৬ হাজার মিটার অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করেছে প্রশাসন। জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর উপজেলার মেখল ইউনিয়নের অংশ থেকে আবারও দুই দিনের মধ্যে ৫ হাজার মিটার অবৈধ ঘেরা জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। যদিও এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতেও একই এলাকা থেকে ১ হাজার ৫শ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছিল। প্রশাসনে অভিযানের পরও হালদা নদীতে থেকে অবৈধভাবে জাল বসিয়ে মাছ শিকার করে যাচ্ছে এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ইউএনও রুহুল আমিন জানান, হালদা নদীতে মাছের অবাদ বিচরণ ও মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাবছর হালদা নদীতে মাছ শিকারের উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল নদীতে ঘেরা জাল বসিয়ে চুরি করে মাছ শিকার করছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে মেখল এলাকার হালদা নদীতে জাল বসিয়ে মাছ শিকারের সংবাদ পেয়ে ইউপি সদস্য মো. কাইয়ুম ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় ৫ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে দুপুরে ইউএনও হিসাবে যোগদানের পর সন্ধ্যায় হালদা নদীর উপজেলার উত্তর মেখল এলাকায় প্রথম অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ করে। এরপর থেকে কি রাত, কি দিন সমান তালে হালদা নদীতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ পর্যন্ত গত এক বছরে হালদা নদীতে ৭০টি অভিযান চালিয়ে প্রায় ১লাখ ৮০হাজার মিটার জাল জব্দ করেন।