হালদায় ভেসে উঠল বিপন্ন প্রজাতির শুশুক

492

দেশের একমাত্র কার্প জাতীয় মা-মাছের মিঠা পনির একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত বিপন্ন প্রজাতির একটি ডলফিন মরে পচে ভেসে উঠেছে। যা স্থানীয়ভাবে উতোম বা শুশুক নামে পরিচিত। গতকাল শনিবার দুপুরে হালদা নদীর আজিমের ঘাট এলাকায় ডলফিনটি মরে পচে ভেসে থাকতে দেখে মো. রোসাঙ্গির নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সেটা চরে নিয়ে আসেন। ডলফিনটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নদীতে চলাচল করা বালুবাহী নৌযান বা ইঞ্জিনচালিত নৌকার প্রপেলারের (পানির নিচে থাকা ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত পাখা) আঘাতে ৩-৪ দিন আগে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে। পরে প্রশাসনের নির্দেশে প্রায় ৬ ফুট লম্বা ও আনুমানিক দেড় মণ ওজনের ডলফিনটির কংকাল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আজিমের ঘাট এলাকায় মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারী মৎস্যজীবী কামাল সওদাগর।
নৌযানের প্রপেলারের আঘাতের কারণে ডলফিনটি মারা যেতে পারে এমনটা ধারণা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া জানান, মৃত ডলফিনটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত বিপন্ন প্রজাতির একটি ডলফিন। সারা বিশ্বে এই প্রজাতির ডলফিন আছে মাত্র ১১-১২শ। যার মধ্যে হালদায় আছে ২০০টি। বিপন্ন প্রজাতির এ জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণীটি মারা যাওয়ায় তিনি গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।