হালদায় ছাড়া হলো ১৭ হাজার পোনা

67

হালদা নদীতে মা মাছের সংখ্যা বাড়াতে সত্তারঘাট ও নয়ারহাট অংশে ১৭ হাজার পোনা ছেড়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল পৌনে ৬টা পর্যন্ত এসব পোনা ছাড়া হয়। চার মাস সাত দিন বয়সী এসব পোনার জন্ম দক্ষিণ এশিয়ায় মাছের অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদার মা মাছের ছাড়া ডিম থেকেই। গড়দুয়ারা এলাকার একটি মডেল পুকুরে এসব পোনা লালন-পালন করা হয়েছিল।
এ উদ্যোগ নিয়ে হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘দূষণ ও মাছ শিকারের ফলে হালদায় মা মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। হালদা নদীতে মা মাছের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে আজ দুই পয়েন্টে ১৭ হাজার পোনা ছাড়া হলো। এসব পোনার দৈর্ঘ্য গড়ে ১০ ইঞ্চি করে’।
পুকুরের পোনা নদীতে ছাড়লে যাতে খাপ খাওয়াতে সমস্যা না হয় সেজন্য মৎস্য কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয় বলেও জানান ইউএনও রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘মডেল পুকুরে প্রতিদিন খাওয়ার দেওয়া হয়নি। যাতে পোনাগুলো প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারে। তবে চার মাস সাত দিনে পোনার যে বৃদ্ধি হয়েছে, সেটা খুবই ভালো। খবর বিডিনিউজের
১ জুন মডেল পুকুরটিতে ১ কেজি রেণু ছাড়া হয়। এক কেজি রেণু থেকে দুই লাখ পোনা হয়। রুহুল আমিন বলেন, ‘কমপক্ষে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ পোনা পাব বলে আশা করি। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে কয়েক ধাপে এসব পোনা হালদায় ছাড়া হবে’।
চলতি বছর ৩১ মে হালদায় ডিম ছাড়ে মা মাছ। সেই ডিম থেকে হওয়া রেণুই মডেল পুকুরটিতে ছাড়া হয়।
নির্বিচার শিকার, ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল ও আইন প্রয়োগে শিথিলতায় হালদায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে মা মাছ। হালদা নদীতে এবার মা মাছের ছাড়া ডিম ও রেণুর পরিমাণ কমে গত বছরের প্রায় অর্ধেক হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যে, মা মাছ কমে যাওয়ায় প্রতিবছরই ডিম ও রেণু উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কার্প জাতীয় মাছের উৎস এই নদী থেকে ডিম আহরণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।