হারানোর ভয়কে হারিয়ে স্বরূপে সৌম্য সরকার

110

তার ব্যাটিংয়ের মূল মন্ত্র, ভয়ডরহীন মানসিকতা। কিন্তু এই মন্ত্রেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছিলেন। মনে ঢুকেছিল সংশয়ের ঘুণপোকা। হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজেকে। এবার দেশ ছাড়ার আগে ঠিক করেছিলেন, এই ভয়কে জয় করবেন। ত্রিদেশীয় সিরিজে রান করার চেয়েও সৌম্য সরকারের বড় তৃপ্তি, নিজের সঙ্গে সেই লড়াইয়ে জয়।
‘এখন আমার হারানোর আর ভয় নাই। আয়ারল্যান্ডে আসার আগে ভেবেছি, অনেক হয়েছে। আর এসব ভেবে লাভ নেই’, ত্রিদেশীয় সিরিজের পর বলছিলেন বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক সৌম্য। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রতিটি ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কারের পাশাপাশি আরেকটি স্বীকৃতি ছিল, ‘ফাউন্ডেশন অব দা ম্যাচ।’ ম্যান অব দা সিরিজের মতো যদি ‘ফাউন্ডেশন অব দা সিরিজ’ থাকত, তাহলে সেই পুরস্কারের জোর দাবিদার হতেন সৌম্য। বাংলাদেশের শিরোপার ভিত তো তার ব্যাটেই গড়া!
ফাইনালে বাংলাদেশের কঠিন রান তাড়া সহজ করে দিয়েছিল সৌম্যর ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। ফাইনালে ওঠার পথেও বাংলাদেশের দুটি জয়ে সুর বেঁধে দিয়েছিল তার ব্যাট। করেছিলেন ৬৮ বলে ৭৩ ও ৬৭ বলে ৫৪। তার ৪৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে টানা তিন ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া হলো এই প্রথমবার। রান-বলের পরিসংখ্যানের চেয়েও চোখে পড়ার মতো ছিল ব্যাটিংয়ের ধরন- একইসঙ্গে নান্দনিক ও বিধ্বংসী ব্যাটিং। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, তার ব্যাটিং ছড়িয়েছে মুগ্ধতা, গুঁড়িয়েছে বোলারদের। কখনও ফ্লিক বা ড্রাইভ, কখনও দাপুটে পুল বা লফটেড শট। সৌম্য ফিরেছেন আপন রূপে।