হাটহাজারীর লোকালয়ে মায়া হরিণ

51

মানুষ নামে সভ্য জীব তার অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রতিনিয়ত উজাড় করছে পরিবেশের অন্যতম উপাদান বন-জঙ্গল। এতে নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্যের আবাসস্থল ও রসদ। মানুষের এমন নৃশংসতা ও বৈরী পরিবেশের কারণে জীববৈচিত্র্য বিপন্ন দশায় পতিত হয়েছে। ফলে কখনও বন-জঙ্গলের প্রাণীকূল প্রাণে বাঁচতে খাবারের সন্ধানে, আবার কখনও মানুষের নৃশংসতার শিকার থেকে বাঁচাতে লোকালয়ে নেমে আসছে।
গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকার পাহাড় থেকে শিকারির তাড়া খেয়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে একটি মায়া হরিণ হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হেলাল চৌধুরীপাড়ায় এমকে রহমানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গরুর খামারে অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরিণটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। এরপর পুলিশ এসে হরিণটি উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন মুঠোফানে বলেন, হয়তো খাবারের সন্ধান, নয়তো চবি’র কোন এক পাহাড় থেকে মায়া হরিণটি শিকারীর তাড়া খেয়ে লোকালয়ে চলে আসেছে। হরিণটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে স্থানীয় লোকজনের দূরদর্শিতার কারণে হরিণটি প্রাণে বেঁচে গেছে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে একটি টিম এসে হরিণটিকে চিকিৎসা দিয়েছে। হরিণটি চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া পাহাড় ও জঙ্গলে খাবার সংকটের কারেণ বন-জঙ্গলের হরিণ, অজগর, মেছোবাঘ ইত্যাদি প্রাণী প্রাণে বাঁচতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এলে, তাদের না মেরে উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ বা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া জন্য তিনি অনুরোধ জানান।