হাটহাজারীতে ১১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

16

হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নের মদনহাট বাজারের পাশে সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল অসাধু কিছু ব্যবসায়ী। তাদেরকে একাধিকবার নোটিশ দিলেও তারা সাড়া দেননি। ফলে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় এসব অবৈধ স্থাপনা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে মদনহাট বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
অভিযানে ১১টি অবৈধ পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রায় ১০ শতক সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জায়গার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার মত।
অভিযানে ইউএনও’কে সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা, ফতেপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, হাটহাজারী মডেল থানা ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকতা-কর্মচারীরা।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, সরকারি জায়গা উদ্ধারে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। দখলকারী যেই হোক, ছাড় নেই। অভিযান চলবে। উদ্ধারকৃত জায়গাটি উদ্ধারে ফতেপুর চেয়ারম্যান এবং উপজেলা প্রশাসন বারবার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তাতে কোন সাড়া মিলেনি। চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এ অভিযানে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ১০ শতক সরকারি জায়গা উদ্ধার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মো. আইয়ুব নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তি তার নিজস্ব সম্পত্তি থেকে মদনহাট মেহেরনেগা সড়কের প্রবেশ পথে প্রশস্ততা বাড়াতে প্রায় ৫ ফুট জায়গা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। যখন রাস্তার সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে, তখন তিনি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিবেন বলে জানান। এছাড়া উচ্ছেদের কারণে জনসাধারণ ও যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হবে এবং পরিষদের সামনে একটি বহুতল ভবন (কাঁচাবাজার) নির্মাণ হবে।
এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সোহেল, মহিন, সাজ্জাদ, মাসুদ রানা, হামিদ, মহিলা সদস্য রুবি আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব, জনি জাহাঙ্গীর, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মো. কলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।