হাটহাজারীতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

76

নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্য অধ্যুষিত এলাকা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংকট দেখা দিয়েছে দুইশ টাকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ টাকায়। জানা যায়, করোনার ব্যাপকতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওতাধীন হাট-বাজারগুলোর ওষুধের দোকানগুলোতে জীবাণুনাশক পণ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। এর ফলে বর্তমানে ওষুধের দোকানগুলোকে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। কোনো কোনো দোকানে তা আর মিলছেই না। স্থানীয় ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, গত দুইদিন থেকে হাটহাজারী সদর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে প্রতিষ্ঠিত ওষুধের দোকানগুলোতে জীবাণুনাশক পণ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে। ফলে বিত্তবানরা এসব জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঔষদের দোকান থেকে কিনতে পারলেও হতদরিদ্ররা কিনতে হিমশিম থেকে হচ্ছে। জানতে চাইলে একাধিক ফার্মেসি মালিক জানান, করোনার ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারণে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির নিকট সরবরাহের অর্ডার দিলেও তারা চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ইচ্ছা থাকলেও লোকজন জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্রয় করতে পারছে না। অর্ডার করলে বেশি দামে করতে হচ্ছে। এদিকে গত ২৪ মার্চ হাটহাজারী পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও রুহুল আমিনের এক অভিযানে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের সত্যতা মিলে। বর্তমান সংকটকে পুজি করে উক্ত এলাকায় দরবার ফার্মেসি নামে একটি ঔষধের দোকানে জীবাণুনাশক পণ্য হ্যান্ড স্যানিটাইজরের বোতলের গায়ের মূল্যও মুছে ২০০ টাকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৩৫০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমিানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২৮টি হ্যান্ড স্যানিটাই জব্দ করা হয় এবং মুচলেকা নেয়া হয়। পরে জব্দকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা নিয়ে কাজ করা গ্রাম পুলিশ সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।