হাটহাজারীতে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক

20

হাটহাজারীতে করোনা ভাইরাসে মহামারি ঠেকাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে প্রতিদিন হাটহাজারী পৌরসভাসহ উপজেলার সর্বত্র প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক পানি। এছাড়া জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে দেয়া ত্রাণ (চাল-ডাল) সামগ্রী পৌরসভা ও উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৫০ জন অসহায় মানুষের নিকট বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা।
গতকাল শনিবার উপজেলার চিকনদন্ডী ও দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নে সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে বিদেশফেরত প্রবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুহুল আমিন। অভিযান চলাকালে যারা ১৪ দিন সরকারের অনুরোধ মেনে নিজ গৃহে অবস্থান করেছেন ইউএনও তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং যাদের ১৪ দিন অতিবাহিত হয়নি তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার অনুরোধ জানান।
এ সময় ইউএনও বলেন, প্রবাসীদের বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকিকালে কোনো প্রবাসীকে বাইরে পেলেই ব্যবস্থা কিংবা বাসায় না পেলে পরিবারের সদস্যদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। আর কোনো প্রবাসীকে বাইরে পাওয়া গেলে জরিমানা এবং নিজ বাসায় তালাবদ্ধ করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এদিকে পৌরসভার উদ্যোগে জনগুরুত্বপূর্ণ ও জনসমাগম হয় এমন স্থানে এবং চলাচলের সড়কে প্রতিদিনের মত ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি ছিটানো হচ্ছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে পৌরসভার কয়েকটি গাড়িতে করে এ কার্যক্রম চালু করেছে পৌর প্রশাসন। পৌরসভার বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়ে এই কার্যক্রম চলছে। পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ও গাড়িতে করে প্রতিদিন ৯ হাজার লিটার পানি ছিটানো হবে বলে জানা গেছে। অবশ্য এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গিয়ে প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা পৌঁছে দিয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ঘুরে এসব ত্রাণ বিতরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউএনও রুহুল আমিন।
তিনি জানান, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার ৭৫০টি পরিবারকে জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে দেয়া ১০ কেজি চাল এবং ১ কেজি করে ডাল দেওয়া হচ্ছে। পৌর সহায়ক কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে পৌর এলাকার অসহায় মানুষের কাছে গিয়ে আমি নিজে পৌঁছে দিয়েছি। অন্যান্য ইউনিয়নের ত্রাণ সামগ্রীগুলো সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা পৌঁছে দিয়েছে।