হাটহাজারীতে খেজুরের কেজি ১৫০০ টাকা!

106

রমজানকে কেন্দ্র করে এবছর রেকর্ড পরিমাণে খেজুর আমদানি করেছে ব্যবসায়ীরা। তারপরও হাটহাজারীতে চড়া দামে খেজুর বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা খুচরা বাজারে খেজুরের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য আদায় করায় তা এখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
জানা যায়, রোজার আগের ছয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৩৪ কোটি টাকায় ৩৫ হাজার ৪০৯ টন শুকনো ও ভেজা খেজুর আমদানি করে ব্যবসায়ীরা। আমদানি শুল্ক ও আনুসঙ্গিক খরচ যোগ করেও প্রতিকেজি খেজুরের দাম পড়ছে ৬৭ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
অতিরিক্ত মুনাফার আশায় একটি অসাধুচক্র খেজুরের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় ভোক্তারা।
বাজার ঘুরে জানা যায়, সৌদি আরবের আজওয়া খেজুর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে। মেকজেল খেজুর কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা। ইরানের কামরাঙ্গা মরিয়ম ১ হাজার টাকা, সাধারণ মরিয়ম ৮০০ টাকা, তিউনিসিয়ার প্যাকেটজাত খেজুর ৪৫০ টাকা, দাবাস ২৪০ টাকা, ফরিদা ৩১০ টাকা, বড়ই ২১০ টাকা, নাগাল ২০০ টাকা ও বাংলা খেজুর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ওই হিসাবে প্রতিকেজি খেজুর আমদানি মূল্যের চেয়ে কমপক্ষে দুই গুণ ও সর্বোচ্চ ২০ গুণ দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
হাটহাজারী বাজারের ক্রেতা রাসেল জব্বার খান নামে এক কলেজ শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশ কিছু মিডিয়া মারফত জানলাম যে, ব্যবসায়ীদের আমদানিকৃত খেজুরের শুল্ক দেওয়ার পর প্রতিকেজি দাম পড়েছে ৬৭ টাকা। অথচ এসব খেজুর কয়েকজন বিক্রেতার হাত ঘুরে হাটহাজারীতে বিক্রি হয় কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে। এ কোন বোকার স্বর্গ রাজ্যে বসবাস করছি আল্লাহ মালুম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, রমজানে এবার তেল, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। খেজুরের দাম কেনো লাগামছাড়া হবে, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আমরা খুচরা ব্যবসায়ী। সামান্য পরিমাণ এনে বাজারে বিক্রি করি। দেশের মানুষ কষ্ট পাক, এটা আমরাও চাই না।
পৌর সদরের খেজুর ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, খেজুর পচনশীল পণ্য। যা আনা হয় তার অর্ধেক অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই উন্নতমানের প্যাকেট খেজুরের দাম একটু বেশি।