হাজেরা-তজু কলেজে নবীন বরণ ও শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

53

সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, জীবনের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কেননা শিক্ষা ছাড়া জীবন অর্থহীন। জীবন এবং রাষ্ট্রকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা বিদ্যা অর্জন করি। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা উপকরণ থাকলে আর একটা থাকে না। এটা আছে তো ওটা নেই। কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন কিছুর ঘাটতি নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ। শিক্ষার আলো ছড়ানোর লক্ষ্যে আমি দুর্গম এলাকায়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে অধ্যয়নের সুযোগ করে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হাজেরা-তজু বিশ^বিদ্যালয় কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপর্যুক্ত বক্তব্য দেন। অধ্যক্ষ মো. দবির উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রাক্তন কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য মাত্বর আব্দুল মোমেন, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য সালা উদ্দিন খালেদ, উপাধ্যক্ষ মো. কুতুব উদ্দিন, স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এস এম আইয়ুব। অনুভূতি ব্যক্ত করেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মোসাদ্দেকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত ৫৫জন শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ছয় হাজার টাকা বৃত্তি ও ক্রেস্ট প্রদান করেন এবং সর্বোচ্চ নম্বরধারী একজন ছাত্রকে ল্যাপটপ উপহার দেন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮-২০১৯ এ নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ট্রফি পান অধ্যাপক সুদত্ত কুমার বড়–য়া, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি শিক্ষক তাহমিনা বেগম, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার লাভ করেন দেশাত্মবোধক গানে মৌমিতা চক্রবর্তী, লোকসংগীতে সুকর্ণা বড়–য়া, কবিতা আবৃত্তিতে আলতাফুর রহমান ফুয়াদ, রবীন্দ্র সংগীতে অন্যন্যা দাশ, দেশাত্মবোধক গানে প্রমা ধর, শ্রেষ্ঠ রোভার রেঞ্জার হেলাল ফারুক মুন্না, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি ক্যাডেট মো. আহসান মোনতাসির, শ্রেষ্ঠ বিএনসিসি গ্রæপ, শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট গ্রæপ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শামীমা আফরোজ ও আবু বকর ছিদ্দিক। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক মো. নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক মো. অহিদুল আলম, অন্যান্য অধ্যাপক ও কর্মচারীবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি