হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা দিপু রিমান্ডে

20

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলার আসামি সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দিপুকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে দিপুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে।
ডিবির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক সকালে বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে আনা হয়েছে।
দুপুরে দিপুকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক আশফাক রাজীব হায়দার আসামিকে সাত দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন দীপুর আইনজীবী প্রাণনাথ। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে কে কী করেছে, তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার জামিন আবেদন নাকচ করে দিপুকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতের আদেশ দেন।
এই মামলায় সোমবার হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা ওই মামলায় এনিয়ে চারজন গ্রেপ্তার হলেন। এর মধ্যে হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ রয়েছেন কারাগারে।
গত রবিবার রাতে ধানমন্ডি এলাকায় সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। ওই গাড়িতে তখন ইরফান ছিলেন।
এরপর ওয়াসিফ মামলা করার পর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অন্যদিকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
ইরফান ও জাহিদকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মদ্যপান ও ওয়াকিটকি ব্যবহারের অপরাধে একবছর করে কারাদন্ড দেয়। দুজনই এখন কেরানীগঞ্জের কারাগারে রয়েছেন।
ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে দুটি মামলাও করবে র‌্যাব। ওয়াসিফের মামলায় বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ইরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।