হাছান মাহমুদ মন্ত্রী হওয়ায় রাঙ্গুনিয়ায় মিষ্টি বিতরণ

40

রাঙ্গুনিয়া থেকে হ্যাট্টিক বিজয় পাওয়া ড. হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সংবাদে উপজেলা জুড়ে চলছে মিষ্টি বিতরণ। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে অভিনন্দন বার্তার হিড়িক। গতকাল রবিবার উপজেলার ইছাখালী সদর ও ঘাটচেক রাস্তার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে দলীয় নেতৃবৃন্দ মিষ্টি বিতরণ করেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পাওয়া চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ও দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ’র মন্ত্রিত্ব পাওয়ার খবরে রাঙ্গুনিয়ার সর্বত্র চলছে উৎসব। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্ষুদে বার্তা। সর্বত্র চলছে মিষ্টি বিতরণ।
ড. হাছান মাহমুদের তথ্য মন্ত্রী হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী এমরুল করিম।প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার অঙ্গিকারও ব্যক্ত করেন ।
অভিনন্দন জানানোর তালিকায় আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সেলিম, কেন্দ্রিয় যুবলীগের সদস্য শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সামশুদ্দোহা সিকদার আরজু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ, ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্ত প্রমুখ।
প্রসঙ্গত; একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে হ্যাট্টিক বিজয় পেয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী যুদ্ধপরাধের অভিযোগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭ হাজার ২২ ভোট। এবার ভোট পেলেন ২ লাখ ১৭ হাজার ১৫৫।
ড. হাছান মাহমুদ তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ছিলেন। ১/১১ সময়ে দলের দুঃসময়ে রেখেছেন বিশেষ ভূমিকা। প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী পরিষদে স্থান করে নিয়ে চমক সৃষ্টি করেন তিনি। ওই সংসদে তিনি প্রথম ছয় মাস পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। সাড়ে চার বছর সফলতার সাথে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাছান মাহমুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রী হিসেবে সুযোগ পাননি। তবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।