হাইকোর্ট মোড়ে বিএনপিকর্মীদের অবরোধ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া

24

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভরত জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই সংগঠনের শতাধিক কর্মী গতকাল বেলা ১টা থেকে ঘণ্টাখানেক প্রেসক্লাব সংলগ্ন হাই কোর্ট মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান। খবর বিডিনিউজের
সকালে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের একটি অনুষ্ঠান ছিল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সমস্য মওদুদ আহমদের সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু হাই কোর্টে নিজের ব্যস্ততার কথা জানিয়ে ওই অনুষ্ঠানে যাননি এই আইনজীবী। এ অবস্থায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীরা দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করে মিছিল বের করেন।
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খানসহ শতাধিক নেতাকর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন।
বেলা ১টার দিকে তারা প্রেসক্লাব এলাকা থেকে মিছিল বের করার সময় পুলিশ এক দফা বাধা দেয়। কিন্তু পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় বাধা উপেক্ষা করে তারা হাই কোর্টের মোড়ে অবস্থান নেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসক্লাব থেকে মৎস্যভবনের দিকে আসার রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আশপাশের সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভকারী বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পরে আরও পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা ঢিল ছুড়লে মৎস্য ভবনের দিকে পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বেলা আড়াইটার দিকে যানজট কমে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
রমনা বিভাগের উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছাড়াই হঠাৎ করে হাই কোর্টের গেটের সামনে বসে পড়ে তারা। পরে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।”