হলুদের চাদরে ঢাকা বিস্তীর্ণ এলাকা

109

কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় সরিষার আবাদ হয়েছে। হলুদে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। দেখলে মনে হবে, প্রকৃতি যেন বিছিয়ে দিয়েছে হলুদ গালিচা।
চকরিয়ার চিরিংগা-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের সাহারবিল রামপুর স্টেশন পার হয়েই চোখে পড়বে প্রকৃতির এই অপূর্ব দৃশ্য। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলী জমিতেও সরিষা চাষ করা হয়েছে। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ। এ দৃশ্য আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের আশা করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চকরিয়া উপজেলায় ১৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত সরিষার আবাদ করা যায়। উপজেলার সাহারবিল, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, চিরিংগা ও চকরিয়া পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৬০ হেক্টর জমিতে বারি-১৪ ও বারি-১৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।
সরেজমিন দেখা যায়, চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী সড়কের সাহারবিল রামপুর স্টেশন পার হয়েই সড়কের উত্তর পাশ্বের চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় সরিষার আবাদ।
সাহারবিল ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক মো. সাকের উল্লাহ জানান, এ বছর ২ কানি জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। প্রতি কানি সরিষা আবাদে সার ও বিষসহ তার খরচ পড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। এছাড়া এ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০-৪৫ জন কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব কৃষকরাই সরিষার ভাল ফলন হবে বলে আশা করছেন।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ বলেন, মূলত চকরিয়া কৃষিপ্রধান উপজেলা। এখানে নানান জাতের সবজি আবাদের পাশাপাশি সরিষারও আবাদ হয়। বারি-১৪ ও বারি-১৭ জাতের সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে-কৃষকদের আবাদকৃত সরিষা ক্ষেতে কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে।