হত্যাকান্ডের ক্লু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

38

সীতাকুন্ডের সলিমপুরে যুবতী হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার বিকালে তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ওসি ইন্টেলিজেন্ট সুমন বনিক। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরিশাল জেলার ভোলা থানার ধনিয়া ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার ইউনুস মাতব্বরের পুত্র মো. মাহমুদুল্লাহ প্রকাশ মামুন (৩৭), নোয়াখালী সদর চৌরাস্তা বুদ্ধিনগর আন্ডারচর এলাকার মো. রফিকের পুত্র মো. জামাল (২১) ও কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষনপাড়া থানার সাহেবাবাদ এলাকার রেশন পুলিশের বাড়ির সাদন মিয়ার পুত্র মো. রাসেল (৩৫)।
উক্ত মহিলাটি হলো রাঙ্গুনীয়া থানার শীলক নাটওয়ী টিলা এলাকার মো. আমির হামজার মেয়ে রিমা বেগম (২৫)। তাদের পরিবার বর্তমানে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন আমিন জুট মিলস্ এর আমিন কলোনির বেলতলি এলাকায় বসবাস করেন।
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সীতাকুন্ডের সলিমপুর ফৌজদারহাট স্কুল সংলগ্ন রেললাইন এলাকা থেকে অজ্ঞাতনাম এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। পুলিশ লাশটি সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুপের করা হত্যা ও গণধর্ষণ মামলার পর পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত মহিলার লাশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করেন। পরে দীর্ঘ এক মাস দশ দিন পুলিশ নিরলস পরিশ্রম করে প্রথমে পুলিশ বরিশাল জেলার ভোলা থানা এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে রাসেলকে এবং সীতাকুন্ডের সলিমপুর আবদুল্ল্যাহ ঘাটা এলাকা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামি রিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি আদালকে স্বীকার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিআইডি’র সহযোগিতায় অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের পরিচয় পাওয়ার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একাধিকবার তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলেছেন এবং মামলার বিষয় সম্পর্কে ধারণা করে প্রথমে বরিশাল থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তিমতে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত তারা মেয়েটিকে প্রথমে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং পরে হত্যা করে। যেটা আদালতে তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।