হঠাৎই সব শেষ হয়ে গেল : কোহলি

27

সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করছেন, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে পরে নামানোটা ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি বিচারে তাঁর আরও আগে আসা উচিত ছিল এদিন। ভিভিএস লক্ষণও তাঁর সঙ্গে একমত।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিপর্যয়ের পরই শুরু হয়ে গিয়েছে ময়নাতদন্ত। কোহলিরা কি ঠিক দল আনেননি বিশ্বকাপে? কেন চার নম্বর নিয়ে এত টালবাহানা চলল শেষ পর্যন্ত? কেন দিনেশ কার্তিকের আগে রিশাব পান্ত? যেখানে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি আউট হয়ে গিয়েছেন, খেলা ধরার জন্য কি কার্তিককে পাঠানো উচিত ছিল? যাঁর রক্ষণ রিশোবের চেয়ে মজবুত? কেন ধোনির আগে হার্দিক পান্ডিয়া?
সৌরভ মাঠ ছেড়ে বেরোনোর সময় বলেন, ‘ধোনি আজ খারাপ খেলেনি কিন্তু। সেই সময় পার্টনারশিপ দরকার ছিল। জাদেজার সঙ্গে ও সেটাই করেছে। তবে ওকে দেরিতে নামানো হয়েছে। আরও আগে আসা উচিত ছিল ধোনির।’ কমেন্ট্রিতেও তিনি এবং লক্ষণ একই কথা বলেছেন।
বিরাট কোহলি যদিও মনে করছেন, নিউজিল্যান্ডের স্কোর তাড়া করতে নেমে শুরুতেই যে তাঁরা চার উইকেট হারিয়ে ফেলেন, সেখানেই ম্যাচ হেরে গিয়েছে দল। ম্যানচেস্টারে মুম্বইসুলভ উৎসবের আবহের বদলে যে শোকের ছায়া নেমে এল, তার কারণ শুরুর চল্লিশ মিনিটের ব্যাটিং।
কোহলি এদিন সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে এমনই ম্রিয়মান ছিলেন যা সচরাচর তাঁকে দেখা যায় না। সেই কোহলিসুলভ আগ্রাসনটা যেন নিউজিল্যান্ড ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের প্রথম চল্লিশ মিনিটেই খেলার রং পাল্টে যায়। আমরা ওই সময়ে খারাপ ক্রিকেট খেলেছি।’
এক নিঃশ্বাসে এরপরে বলেন, ‘তবে নিউজিল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতে হবে। যেভাবে ওরা নতুন বলে বল করেছে, সেটাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়ে গেল।’
২০১১-তে ধোনির ভারত যখন ওয়ানডেতে বিশ্বকাপ জেতে, কোহলি সেই দলের তরুণ সদস্য ছিলেন। শচীন টেন্ডুলকারকে তাঁর কাঁধে করে মাঠ ঘোরানোর ছবি এখনও সকলের মনে আছে। ২০১৩-তে ধোনিরই নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেখানেও কোহলি দলের তরুণ ব্যাটসম্যান। তারপর থেকে বিশ্ব মঞ্চে ট্রফিহীন ভারত।