হজ নিবন্ধনের সময় বাড়লো

29

হজের নিবন্ধন কার্যক্রম আগামি ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল বুধবার নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অন্য কোনো ব্যয় বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না। অবশিষ্ট অর্থ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমা দেওয়ার জন্য হজ যাত্রীকে প্রস্তুত রাখতে হবে। নিবন্ধনের সময় হজ যাত্রী এবং এজেন্সিকে আবশ্যিকভাবে নগদ লেনদেন পরিহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মধ্যস্বত্ব ভোগী বা তথাকথিত গ্রূপ লিডারের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নিবন্ধনের সময় হজ যাত্রীর জমা দেওয়া অর্থ শুধুমাত্র হজ কার্যক্রমেই ব্যয় করতে হবে। নিবন্ধন ভাউচারের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা প্রদান করে নিবন্ধন করতে হবে। হজযাত্রী কর্তৃক এজেন্সির ব্যাংক হিসাব ব্যতীত কোনোভাবে নগদ লেনদেন করা হলে এজন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। নিবন্ধনের সময় হজ যাত্রী কর্তৃক জমা দেওয়া অর্থ হজ কার্যক্রম ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। নিবন্ধনের জন্য জমা দেওয়া অর্থ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ব্যতিরেকে কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া বা অন্য কোনো খাতে ব্যয়ের জন্য অর্থ পাঠানো যাবে না এবং বাংলাদেশেও বিমান ভাড়া বা অন্য খাতে অর্থ ব্যয় করা যাবে না। বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে হজ যাত্রী পাঠানো সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট এজিন্সকে জমাকৃত অর্থ হজ যাত্রীকে ফেরত দিতে হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মো. আব্দুল্লাহ্ বলেন, ‘২০২০ সালে হজ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণকারী এজেন্সিগুলোর ‘হজযাত্রী নিবন্ধন ব্যাংক হিসাব’ ব্যবহার বিষয়ে বেশকিছু নির্দেশ গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে। ২ মার্চ থেকে হজ যাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে ওমরাহ যাত্রী পাঠানো ও সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ২০২০ সালে হজ যাত্রী পাঠানোর লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ যাত্রী নিবন্ধনের সময় বিমান ভাড়া এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ কোনো এজেন্সি অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি দাবি করলে কোনো অবস্থাতেই সম্মানিত হজযাত্রীগরা তা প্রদান করবেন না। এমন কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিক অবহিত করতে হবে’। খবর বাংলা ট্রিবিউনের