সড়ক নিরাপত্তায় অর্থায়নে আগ্রহী বিশ্ব ব্যাংক

20

পদ্ম সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা ঘুচিয়ে ফেলার কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে নতুন করে বৈশ্বিক এই ঋণদাতা সংস্থার কাজ করার আগ্রহে সরকারও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্প থেকে হঠাৎ করে সরে গেলে তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর বিশ্বব্যাংক নতুন করে আবার যাতায়াত শুরু করতে চায়। তারা বিনিয়োগ করতে চায়, প্রথমে তারা নিরাপদ সড়ক নিয়ে কাজ শুরু করতে চায়। তাদের সঙ্গে ইউনাটেড নেশন্সও রয়েছে। খবর বিডিনিউজের
সড়ক নিরাপত্তায় যা অর্থায়ন করা দরকার তা বিশ্ব ব্যাংক করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনাটেড নেশনসও তাদের সঙ্গে অর্থায়ন করবে। তিন বছরের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রোড সেফটির বিষয়টিতে একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
তাদের ফান্ডিং ভিন্ন, কিন্তু তারা একসঙ্গে কাজ করবে। সড়কে যে বিশৃঙ্খলা আছে, কখনও কখনও নাজুক অবস্থা, সেখানে তারা দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে চায়, সে লক্ষ্যে তারা কাজ করবে।
ভোমরা ও ঝিনাইদাহ থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত ২৬০ কিলোমিটার সড়ক চার লেন কাজেও বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন করবে বলে জানান মন্ত্রী। তবে এ প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংক এখনও জানায়নি।
তারা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আমরা অ্যাপ্রুভ করলে বিশ্ব ব্যাংক থেকেও অ্যাপ্রুভ লাগবে। যা যা লাগবে সবকিছু নিয়েই কাজ করবে। যে সহায়তা দরকার তা তারা নেবে,বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকার বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রাখতে চায়না বলে তিনি জানান।
আগে যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা তাদের নতুন প্রপোজালে সাড়া দিচ্ছি। বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে। তারা বলেছে বাংলাদেশের সঙ্গে তারা নতুন করে কাজ করবে।
ছয় বছর আগে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। তাদের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পথে এগিয়ে যায়।
তবে তারপর বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে তিক্ততার অবসান ঘটার কথা সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও বলেছিলেন। বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমও বাংলাদেশ সফরে এসে এখানকার অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসাও করেছিলেন।
গত জানুয়ারি বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফানের সঙ্গে বৈঠকের পর বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও সংস্থাটির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথা বলেছিলেন।