স্বৈরাচারের পতনের পদধ্বনি শুনছি

28

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতি এসে পুরো চট্টগ্রামবাসীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। চট্টগ্রামবাসী আশা করছিলেন, তিনি চট্টগ্রামের জন্য খুশির কোন খবর দেবেন। কিন্তু তিনি বলে গেলেন, বাংলাদেশের সব খাদ্যে ভেজাল। শুধু কচুতে ভেজাল নেই। তাই কচু খেতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে গেলেন। মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন খাদ্যে ভেজাল তাহলে আপনি পদত্যাগ করছেন না কেন? বর্তমান সরকারকে এরশাদের চেয়ে ‘বড় স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ ২শ’র মতো মানুষকে হত্যা করেছিল। আর এই সরকার গত ১১ বছরে হাজার হাজার গণতন্ত্রের সংগ্রামী মানুষকে হত্যা করেছে। এই অবৈধ সরকারকে খুন-গুমের
জন্য ভবিষ্যতে জবাবদিহি করতে হবে। আজকে আমরা গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে স্বৈরাচারের পতনের পদধ্বনি শুনছি। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে স্বৈরচার পতন দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদই আওয়ামী লীগের মৌলিক চরিত্র। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তা পরিচর্চা করে না। ক্ষমতাকে তারা পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে, তা টিকিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবই করে। দেশে ভয়াবহ সংকট চলছে, অথচ তাদের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সরকার সব গণতান্ত্রিক খাতগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আমাদেরকে বাইরে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। দেশে কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে গেছে।
সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, অতীতে এরশাদের পাতানো নির্বাচনে গিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বেঈমানের খেতাব পেয়েছিলেন। এরশাদ সেই ঋণ শোধ করার জন্য মহাজোটের সরকারে অংশ নিয়েছেন। ৬ ডিসেম্বরকে ঐতিহাসিক দিন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এদিন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচরের পতন ঘটেছিল। এই অভ্যুত্থান একদিনে সংগঠিত হয়নি; দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। এমন এক সময়ে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে, যখন আরেক স্বৈরাচরের যাঁতাকলে দেশ। দেশবাসী এখন অত্যাচারী সরকারের দুঃশাসনে অসহায় হয়ে পড়েছে। অবৈধ সরকারের অমানবিক আচরণে দেশের মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সারাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দাম এখনো ২০০ টাকার উপরে। বিদেশ থেকে হাজার হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে। চট্টগ্রামবাসী মনে করেছিল পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। আওয়ামী লীগের পেঁয়াজ সিন্ডিকেট ৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আরো কত টাকা লুটপাট করবে তা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন পেঁয়াজ উৎসব করছে। চট্টগ্রামের এক আওয়ামী লীগ নেতা পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করার উপদেশ দিচ্ছেন।
চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেন, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতারা এখন কেউ আওয়ামী লীগের সাথে নেই। কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল, আওয়ামী লীগ এরশাদের পতন চায়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্বৈরাচার এরশাদের দলকে নিয়েই তারা সরকার গঠন করেছিল।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, এডভোকেট আবু তাহের, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসেন, নুরুল আকতার, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, থানা সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, বাবুল হক, কাউন্সিলর মো. আজম, সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, জেলী চৌধুরী, আজাদ বাঙালি, আবু মুসা, আবদুল আজিজ, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাইনু, অংগ সংগঠনের সভাপতি/সম্পাদক নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, মামুনুর রশিদ শিপন, মনিরুজ্জামান মুরাদ, নগর বিএনপির সদস্য আলী ইউসুফ, মনজুর কাদের মিন্টু, আইয়ুব খান, রেজিয়া বেগম মুন্নি, সাহেদা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি এস এম মফিজ উল্লা, মনজুর আলম মঞ্জু, মো. মহসিন, মো. আজম, এড. এফ এ সেলিম, রফিক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, সাব্বির আহমদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, কামরুল ইসলাম, ফিরোজ খান, মো. হাসান, এস এম ফরিদুল আলম, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমান উল্লাহ আমান, রাজন খান, জিয়াউর রহমান জিয়া, আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দিন, গোলজার হোসেন প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তি