মহামারীতে বন্ধ হওয়া পদ্মা সেতু নির্মাণসহ বড় বড় উন্নয়ন কাজগুলো স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পুরোদমে ফের শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল রবিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ বেশ এগিয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত মূল সেতুর ৮৯ শতাংশ ও নদী শাসনের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ৩১টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপিত স্প্যান বা ট্রামের উপর যানবাহন চলাচলের জন্য ডেক স্থাপনও শুরু হয়েছে।
জাইকার অর্থায়নে মেট্রোরেল রুট-৬ নির্মাণকাজও এগিয়ে চলছে জানিয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে কর্মরত জনবলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা শেষে তাদের কর্মে নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় অবস্থান নিশ্চিত করতে নির্মাণ করা হচ্ছে আবাসিক স্থাপনা। দুটি ফিল্ড হসপিটাল নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ১২ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। স্থাপন করা হচ্ছে রেললাইন। জাপানের কারখানায় এক সেট ট্রেন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আরও ৪ সেট ট্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। স্টেশন নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে জাপান থেকে জলপথে ট্রেনগুলো নিয়ে আসা হবে। করোনার কারণে মেট্রোরেলের কাজ কিছুটা থমকে গেলেও এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ ৫৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের
ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস রেপিড ট্রানজিড প্রকল্প, ঢাকা সিলেট হাইওয়ে চার লেনে উন্নীতকরণ, পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ (অগ্রগতি ৫৯ ভাগ), ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় আশুগঞ্জ নদীবন্দর হতে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নতকরণের কাজ, এডিবির অর্থায়নে গাজীপুর থেকে এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, নারায়ণগঞ্জে তৃতীয় শীতলক্ষ্য সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত গতিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।