স্বামী থাকলেও বিধবাভাতা নেন ইউপি মেম্বার!

22

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও-চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার খতিজা বেগমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্বামী জীবিত তবুও বিধবা ভাতা নিচ্ছেন তিনি। নারী মেম্বারের এমন কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝড় বইছে পুরো ইউনিয়নে। এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক মেম্বার জানান, খতিজা বেগম ৬-৭ ধরে বিধবা ভাতা তুলছেন। তাকে বিধবাভাতা দেওয়ার অনিয়মে অভিযোগের তীর কক্সবাজার সদরের সাবেক এক সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই এলাকার ওমর আলীর ছেলে বদিউল আলমকে বিয়ে করেন খতিজা। ৬ মাস পর বদিউল আলম ডির্ভোস দেন তাকে। তখন স্বামী পরিত্যক্তা দেখিয়ে নাম লেখান। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন একই এলাকার মৃত সোনা মিয়ার ছেলে বাহাদুল্লাহকে। পরে তাকে মামলা দিয়ে ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে ডির্ভোস দেন। এরপর তৃতীয় বিয়ে করেন খুরুস্কুল ইউনিয়নের পেঁচার পাড়ার সাহাব মিয়াকে। এখন তিনি সাহাব মিয়ার সাথে সংসার করছেন।
আরও জানা গেছে, গত নির্বাচনে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নির্বাচন করেন খতিজা বেগম। নির্বাচনে জয়ী হয়ে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর খতিজা বেগম শুরু করেন নানা অনিয়ম। মাতৃত্বকালীন, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ নানা সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন তিনি, এমন অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর। এছাড়া সরকারি ত্রাণ জনগণের মাঝে বিলি না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন। সালিশ-বিচারে যে পক্ষ টাকা দিবেন না, রায় তার বিপক্ষে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন একাধিক বিচার প্রার্থী।
এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম মাহফুজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলে তিনিও রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।