স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ জিয়ার ভূমিকা ইতিহাসের অংশ

29

মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। সংকটময় মুহূর্তে ত্রাণকর্তা হিসাবে তিনি বার বার দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ। শহীদ জিয়ার শান্তি ও উন্নয়নের রাজনীতি মানুষকে উজ্জ্বীবিত করেছিল।
গতকাল শনিবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের ঘোষণার দাবি জানিয়ে আবু সুফিয়ান বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ও প্রশাসনের সহায়তায় সরকারি দলকে যেভাবে বিজয়ী দেখানো হয়েছে তা আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। এ জালিয়াতির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। সরকারি দলের পক্ষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা ছিল নজিরবিহীন। এই বিতর্কিত নির্বাচনের ফল রাজনীতিকে বিপজ্জনক যুগে ঠেলে দিয়েছে। আলোচনা সভায়, কারাবন্দি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বাদে আছর দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনা এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন। মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আর ইউ চৌধুরী শাহীনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপত্বি এম এ আজিজ, এডভোকেট আবদুস সত্তার সরওয়ার, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরওয়ার আলম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম সম্পাদক আবু মুসা, সহক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর ন্যাপ সভাপতি ওসমান গণি সিকদার, নগর তাঁতী দল সভাপতি জাহাঙ্গির আলম, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, মনজুর কাদের মিন্টু, বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ, মসিউদ দৌলা জাহাঙ্গির, সফিকুর রহমান, মো. ছিদ্দিক মিয়া, নুর উদ্দিন সোহেল, নগর যুবদল নেতা রাসেল নিজাম, গোলজার হোসেন, আরিফুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন খান, নগর ছাত্রদল নেতা মো. সাইফুল আলম, বশিরুল ইসলাম পলাশ, শহীদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কুতুবী, সৈয়দ সাফওয়ান আলী, এন মোহাম্মদ রিমন প্রমুখ।