স্বস্তি-ক্ষোভ-হতাশায় বাফুফের বহুল আলোচিত এজিএম

76

গাজীপুরের শ্রীপুরস্থ সারাহ রিসোর্টে ঢুকতেই বিশাল ব্যানার ‘বিএফএফ কংগ্রেস-২০১৯।’ ভেতরের আঁকা-বাঁকা পথে যেতে চোখে পড়লো এজিএম’র ভেন্যু নির্দেশনা। এজিএম’র ভেন্যুর পাশে গেলেই কানে আওয়াজ, ভেতরেও সরগরম। বেশ গরম বক্তব্যও হচ্ছে। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম বাফুফের সাধারণ সভা, যা ঘিরে অনেক দিন ধরেই আলোচনায় ভরপুর ছিল ফুটবলাঙ্গন। যে কারণে গাজীপুরের গহীন বনের মধ্যে আয়োজিত এজিএম দেখতে ক্রীড়াঙ্গনের কিছু উৎসুক মানুষও ছিল।
বেলা ১১টায় শুরু হওয়া সাধারণ সভা শেষ হয় দুপুর দেড়টার দিকে। তবে এজিএম’র সমাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কাউন্সিলরদের একটা অংশ। অনেক প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তড়িঘড়ি করে এজিএম শেষ করে দেয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন আগামী নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ষোষণা দেয়া তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এজিএম শেষে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মুখে হাসি। রাগ-ক্ষোভ ঝরলো অন্যতম সহ-সভাপতি বাদল রায়ের মুখ থেকে।
হতাশ হয়ে বললেন, এমন এজিএম করে লাভ কি? প্রায় সাড়ে তিন বছরের হিসাব-নিকেশ। জমে থাকা অনেক প্রশ্ন, এতসব কি কয়েক ঘণ্টার এজিএমে শেষ হয়? হয়নি। হয়নি বলেই অনেকে নাখোশ, হতাশ।
এজিএম শেষে নির্বাহী কমিটির প্রায় সবাইকে দুই পাশে রেখে বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি খুব খুশি এমন একটা এজিএম করতে পেরে। এখানে সবাই খোলা মনে কথা বলেছেন। ফুটবল একটি পরিবার। এ সভায় তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। ফুটবলের স্বার্থেই আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।’
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘আমাদের এজিএম অনেক দেরিতে হলো। তবে সামনে থেকে নিয়মিত করা হবে।’
রুহুল আমিন তরফদার বলেন, ‘অনেক বিষয়েই অসঙ্গতি ছিল। বিশেষ করে আর্থিক রিপোর্টে। তবে আমরা সবকিছুই অনুমোদন করেছি ফুটবলের স্বার্থে। কমিটির পক্ষ থেকে আমাদের কথা দেয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকবে।’
৯টি এজেন্ডা নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের অডিটরস রিপোর্ট অনুমোদন করার পাশাপাশি ২০২০ সালের জন্য ৪১ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্ভাব্য বাজেট পাস করা হয়।