‘স্বর্ণের কাগজ’ বানিয়েও রক্ষা হলো না!

35

স্বর্ণের বারকে গলিয়ে ‘স্বর্ণের কাগজ’ বানিয়েও শেষ রক্ষা হলো না বিদেশফেরত এক যাত্রীর। গতকাল বুধবার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা (এনএসআই) কৌশলে শুল্কফাঁকির এ অপচেষ্টাও রুখে দিলেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, একই দিনে তিন যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে ৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এর মধ্যে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ২৪ ক্যারটের ২টি, ১০টা ৩৫ মিনিটে সারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার জি ৯-৫৮৯ ফ্লাইটে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ২টি এবং বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৩৬ আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ২টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। তারা বৈধভাবে স্বর্ণের বার আনার কথা ঘোষণা দেননি।
এর মধ্যে একজন যাত্রী স্বর্ণের বার গলিয়ে সোনালি রঙের কাগজের মতো রূপ দেন। কিন্তু এনএসআই টিম স্বর্ণকার ডেকে এনে পরীক্ষার ভয় দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি স্বীকার করেন।
স্বর্ণের বারগুলো শুল্ককর ও জরিমানা পরিশোধের পর ফেরত দেওয়ার জন্য বিমানবন্দর কাস্টমসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার এনে বিমানবন্দরে ঘোষণা দিলে মাত্র ২০ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যখন তল্লাশিকালে স্বর্ণের বার পান তখন জরিমানাসহ দিতে হয ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।