স্থগিত মামলার তালিকা করতে নির্দেশ

27

স্থগিতাদেশের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ এসেছে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে। ২০১০ সাল পর্যন্ত যেসব ফৌজদারি মামলার ওপর হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে- সেগুলোর তালিকা তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করতে হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে এক রায়ের সঙ্গে এই নির্দেশনা আসে।
প্রায় তিন দশক ধরে আটকে থাকা সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলার স্থগিতাদেশ এই রায়ের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে আদালত। ৬০ দিনের মধ্যে অধিকতর তদন্ত শেষ করে তার পরের ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এত দিনেও ভিকটিমের পরিবারকে রাষ্ট্র কোনো বিচার দিতে পারেনি। ২৮টা বছরে এ মামলার ভিকটিমকে আমারা কী দিতে পারলাম! সামগ্রিকভাবে এটা আমাদের ব্যর্থতা। খবর বিডিনিউজের
এ আদালত বলেছে, ফৌজদারি রিভিশন ও ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৬১(ক) ধারায় মামলা বাতিলের আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকলে এবং প্রধান বিচারপতি তা এই বেঞ্চে পাঠালে বেঞ্চ তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা হবে।
এক প্রশ্নে হাই কোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার (ফৌজদারি শাখা) মো. জাকির হোসেন পাটোয়ারী জানান, ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৬১(ক) ধারায় মামলা বাতিলের আবেদনের কারণে ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৩০ হাজার মামলা স্থগিত আছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালেই ২ হাজার ২৪৯টি আবেদন হয়। তবে রিভিশন আবেদনের কারণে কতটি মামলায় স্থগিতাদেশ আছে- সে তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি সহকারী রেজিস্ট্রার ছিদ্দিকুর রহমান (ফৌজদারি-১)।
জট কমাতে নানা উদ্যোগের পরও দেশের আদালগুলোতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা মামলার সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ১৮ জুন জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জানান, দেশের নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালতে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৩৪৭টি মামলা বিচারধীন ছিল।
এর মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকা ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ৩ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৩টি।