স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেপ্তার

7

হাটহাজারী প্রতিনিধি

বয়সের পার্থক্য দ্বিগুণ হলেও প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মোজাম্মেল হোসেনকে (৪০) বিয়ে করেছিলেন লাকি আক্তার (২০)। কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষ মোজাম্মেলের হাতেই প্রাণ গেল তার। স্ত্রী লাকি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী মোজাম্মেল।
নিহত লাকি আক্তার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের মুনসুর আলী তালুকদার বাড়ির মৃত ফজল করিমের মেয়ে। মোজাম্মেল হোসেন সাতকানিয়া উপজেলার কেউচিয়া গ্রামের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে।
স্ত্রী লাকি আক্তারকে হত্যার পর থেকে স্বামী মোজাম্মেল পলাতক ছিল। র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গতকাল রবিবার বিকালে উক্ত ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুর রহমান জানান, স্ত্রী হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মোজাম্মেল হোসেনকে সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার মোজাম্মেল তার স্ত্রী লাকি আক্তার হত্যার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকার করে।
তিনি আরও জানান, নিহত লাকি আক্তার ও তার স্বামী মোজাম্মেল হোসেন বিয়ের পর থেকে চট্টগ্রাম শহরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এসবের জের ধরে লাকি আক্তার একা তার ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসে এবং পারিবারের লোকদের জানায় তার স্বামীর সাথে মনোমালিন্য চলছে। পরবর্তীতে গত ২৮ জুলাই কখনো স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করবে না এমন আশ্বাসে লাকি আক্তারকে তার স্বামী মোজাম্মেল হাটহাজারী পৌরসভার ফটিকা গ্রামের সুবেদার পুকুর পাড় (মেখল রোড) জামালের কলোনীস্থ ফরিদা মঞ্জিল ভবনের নিচতলার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। গত ৩০ জুলাই ওই বাসা থেকে লাকি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই আবু ছিদ্দিক বাদী হয়ে তার বোনের স্বামী মোজাম্মেল হোসেন এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা।