স্কুল টিফিনে ডিম অন্তর্ভুক্ত করার আহবান

33

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষার্থীদের পরিবারের নিজস্ব উদ্যোগে টিফিন প্রদান করা হয়ে থাকলেও সেখানে পুষ্টির ঘাটতি পূরণে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান ডিম অনেক সময় থাকে না। আবার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের দোকান থেকে নানা জাঙ্কফুড, ফাস্টফুড ক্রয় করে থাকেন। এসমস্ত খাদ্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে উৎপাদন করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী অপুষ্টিতে ভুগছে, যার ফল গিয়ে দাঁড়াচ্ছে লেখাপড়ায় অমনযোগী, মেধা বিকাশ ও শরীর গঠনে বাধাগ্রস্ততা। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিফিনে ডিম অর্ন্তভুক্ত করা হলে করা হলে তা শিক্ষার্থীদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
গত ১২ নভেম্বর নগরীর টাইগারপাসস্থ সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে সিটি করপোরেশন, প্রাণীসম্পদ কার্যালয় ও ভোক্তাদের সাথে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসী সভায় এ সুপারিশ করা হয়। জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বক্তব্য দেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, নাহার এগ্রোর মহাব্যবস্থাপক ডা. আবদুল হাই, থানা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরমিন আক্তার, ডা. জাকিয়া খাতুন, ক্যাব দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব পাঁচলাইশের সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, সেলিম সাজ্জাদ, ক্যাব নেতা জানে আলম, নবুয়ত আরা সিদ্দীকি, সালাহউদ্দীন আহমদ, প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, এমদাদুল করিম সৈকত, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, নার্গিস আকতার নীরা, ক্ষুদ্র খামারী মোসলেম উদ্দীন, ফিড বিক্রেতা মোহাম্মদ যুবাইর, চিটাগাং বার্ড ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের মীর রাজওয়ান হোসেন ও ক্যাব চট্টগ্রামের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তাজমুন নাহার হামিদ, শম্পা কে নাহার, জেড এইচ শিহাব প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিফিনে ডিম সরবরাহ করে শিক্ষার্থীদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কাঁচা বাজারগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা, বাজারগুলোতে পোল্ট্রি কর্নার স্থাপন, গবাদি পশুর পাশাপাশি পোল্ট্রির জন্য পৃথক কসাইখানা স্থাপনের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান। সভায় বলা হয়, বায়ো সিকিউরিটি সমৃদ্ধ (কন্ট্রোল শেড) খামারে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করলে অ্যান্টিবায়োটিকের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আর যত্রতত্র, অপরিস্কার, অপরিছন্ন স্থানে মুরগি জবাই করে ভোক্তার কাছে মুরগি সরবরাহ করার কারণে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি ঝুঁকির মধ্যে আছে। স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি পেতে হলে ফ্রোজেন (প্রক্রিয়াজাতকৃত) মুরগির বিকল্প নেই। সুপার শপগুলোতে বায়োসিকিউরিটিযুক্ত, প্রাণীসম্পদ অফিসের সনদপ্রাপ্ত, যথাযথ মান পরীক্ষা নিশ্চিত করে বাজারজাতকৃত মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি