সৌরবিদ্যুতে জ্বলবে নগরীর সড়কবাতি

80

সড়কে বাতি জ্বালিয়ে রাতে শহরকে আলোকিত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। বিপরীতে প্রতিমাসে অর্ধকোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয় সংস্থাটিকে। শুরুর দিকে সোড়িয়ামের বাতি জ্বালিয়ে আলোকায়নের কাজটি সারত চসিক। রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেশি ও আলো কম হওয়ায় এখন সোড়িয়াম বাতি থেকে সরে সড়কে এলইডি বাতি বসাচ্ছে করপোরেশন। সৌরবিদ্যুতে সড়কবাতি জ্বালালে বেঁচে যাবে বিদ্যুৎ খরচ। তাই সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে সড়কবাতি জ্বালানোর কথা ভাবছে সরকার। এ জন্য সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, নগরে ১ হাজার ১শ ৮৪ কিলোমিটার আলোকায়ন যোগ্য সড়ক রয়েছে। যেখানে এলইডি বাতি বসেছে ১শ ৫৩ কিলোমিটার সড়কজুড়ে। একই সাথে ২শ ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৪শ ৬৭ কিলোমিটার সড়কে ধবধবে সাদা এলইডি বাতি বসছে। অর্থাৎ ৬২০ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি বসবে। অন্যদিকে সোডিয়াম বাতি রয়েছে ৪শ ২৩ কিলোমিটার সড়কে। এসব সড়কে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হলে নগরজুড়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘ইনোভেশন টিম’ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে সড়ক বাতি জ্বালানোর একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। সেই প্রস্তাবের আলোকে সিটি করপোরেশন থেকে মতামত চেয়েছে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের উপ-পরিচালক মোরশেদা খাতুন।
এ বিষয়ে চসিকের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলুন কুমার পূর্বদেশকে জানান, সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই কিলোমিটার সড়কে সৌরবিদ্যুতের বাতি বসানো হয়েছে। কর্ণফুলী মেরিনার্স সড়কে এসব বাতি বসানো হয়েছে। এসব বাতির অভিজ্ঞতা আমাদের দারুণ। এতে জাতীয় গ্রিড থেকে কোনো বিদ্যুৎ খরচ হয় না, করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হয়। তাছাড়া আলোর ক্ষেত্রেও কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। তবে অন্যান্য বাতির চেয়ে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ একটু বেশি। তিনি মনে করছেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় এখনও প্রায় সাড়ে ৪শ কিলোমিটার সড়কে সোডিয়ামের বাতি রয়েছে। সেখানে সৌরবিদ্যুতের বাতি ব্যবহার করলে নগরীর আলোকায়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা বলেন, সৌরবিদ্যুতের সড়কবাকিগুলো ভালো ‘আউটফুট’ দেয়। কিন্তু প্রাথমিক বিনিয়োগ বা এসব বাতি বসাতে খরচ তুলনামূলক বেশি। যা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে করা সম্ভব নয়। তাই আমরা ভবিষ্যতে প্রকল্প গ্রহণ করে এমন ধারণা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।