সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ‘পুরাই গুন্ডা হয়ে গেছেন’

58

সৌদি আরব বহু অপকর্মের হোতা ও এর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্ম বিন সালমান ‘পুরাই গুন্ডা’ হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। সৌদি আরবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদে সাবেক জেনারেল জন আবিজায়িদের মনোনয়ন নিশ্চিত করা নিয়ে বুধবার সিনেটের এক শুনানিতে আইনপ্রণেতারা দেশটির ও এর যুবরাজের কড়া সমালোচনা করেন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। জেনারেল আবিজায়িদকে রিয়াদে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাবেক এই চার তারকা জেনারেল সহজেই সিনেটের সমর্থন পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরাক যুদ্ধের সময় আবিজায়িদ মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন। ওই শুনানিতে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের পাশাপাশি বিরোধী ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটররাও ছিলেন। তারা সবাই সৌদি আরবের নিন্দা করেছেন।
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদির আরবের জড়িয়ে পড়া, দেশটির এলোমেলো কূটনৈতিক তৎপরতা ও মানবাধিকার ক্ষুণ্ণের ঘটনা তাদের সমালোচনার কেন্দ্রে ছিল।
নারী আন্দোলনকারীদের ও এক মার্কিন নাগরিককে নির্যাতন ও প্রখ্যাত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজির খুনের ঘটনা তাদের আলোচনায় প্রাধান্য পায়। মার্কিন আইনপ্রণেতারা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কড়া সমালোচনা করেন। কয়েকজন আইনপ্রণেতা খাশুগজি খুনের জন্য তাকে দায়ী করেন, অন্যরা তার ওপর মানবাধিকার লংঘনের দায় দেন।
শুনানি কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান জিম রিশ বলেন, “সৌদি আরব এমন অনেক কিছুতেই জড়িত যেগুলো পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।” শুনানির এক পর্যায়ে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেন, মোহাম্মদ বিন সালমান ‘পুরোপুরি গুন্ডা’ হয়ে গেছেন। আরেক রিপাবলিকান সিনেটর রন জনসনও এই কথাটির পুনরাবৃত্তি করেন। শুনানিকালে আবিজায়িদ খাশুগজির খুনের বিষয়ে জবাবদিহিতার আহব্বান জানান এবং মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেন, কিন্তু বারবার ওয়াশিংটন-রিয়াদের কৌশলগত সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে এর ওপর জোর দেন। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাড়তে থাকা চাপা উত্তেজনা সত্বেও ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের পদটি খালি পড়ে ছিল।