সৌদি-ইরান বিরোধে মধ্যস্থতা করতে তেহরানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

41

একদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রবিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তেহরানে তাকে স্বাগত জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। ইসলামাবাদের দাবি, আঞ্চলিক শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে এই সফর করছেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার চলমান উত্তেজনায় মধ্যস্থতা করতে এই সফরে গেছেন ইমরান খান।
২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হামলা চালালে তেহরান ও রিয়াদের উত্তেজনা শুরু হয়। গত সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার পর দুই দেশের উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। ওই মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে ইরান-সৌদি বিরোধ নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১৩ অক্টোবর তেহরান সফরে রয়েছেন ইমরান খান। রবিবারের এই সফরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনি, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ করবেন। এছাড়া কাশ্মির পরিস্থিতিও তাদের আলোচনায় আসতে পারে।
এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো তেহরান সফর করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গত এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট রুহানির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইরান যান তিনি।
ইরান সফরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রিয়াদ যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সফরসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন। সোমবার ইমরান খানের রিয়াদ সফরের কথা থাকলেও এদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সৌদি আরব সফরের কথা রয়েছে। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সে কারণে সোমবার ইমরান খান রিয়াদ সফরের পরিকল্পনা করেছেন না। এর বদলে আগামী সপ্তাহের কোনও একদিন রিয়াদ সফর করবেন তিনি। ট্রিবিউন