­সৌদিতে করোনায় লোহাগাড়ার প্রবাসীর মৃত্যু

31

লোহাগাড়া প্রতিনিধি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সৌদিয়া আরবে প্রাণ গেল মোহাম্মদ হাসান (৪০) নামের এক প্রবাসীর। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অধিবাসী বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সৌদি আরবের মদীনাস্থ সরকারি তহুদ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি সৌদি আরবের মদিনা হেরাম শরীফ সংলগ্ন জম জম টাওয়ারে একটি বোরকার দোকানে কর্মরত ছিলেন।
তাঁর ছোট ভাই মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাসান লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকফিরাণী গ্রামের দুর্লভের পাড়ার হাজ্বী লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। সৌদি আরব থেকে আরিফ মিয়া নামের তার এক নিকটাত্মীয় জানান, গত ১৯ মার্চ হার্টের সমস্যা, হাঁপানি ও সর্দি-জ্বরসহ নানান সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন হাসান। দু’দিন পর তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে সৌদি সরকার তাকে মদীনার সরকারি ওহুদ হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
হাসানের ছোট ভাই মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ৯ দিন আগে মদিনা মানোয়ারা থেকে একটু দূরে ক্ষেতের খামারে এক বন্ধুর কাছে বেড়াতে যান আমার বড় ভাই হাসান। সেখানে তিনি কাশি ও সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন বলে জানতে পেরেছি। পরে মদীনার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির ৩ দিন পর তার দেহে করোনা ভাইরাস ধরা পড়লে তাকে সৌদি সরকারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সৌদি আরব থেকে মুঠোফোনে আমার ফুফাতো ভাই রফিক উদ্দিন হাসানের মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের পরিবারকে নিশ্চিত করেন। হেলাল আরো জানান, বড় ভাই হাসান ২০০০ সালের শেষের দিকে সৌদি পাড়ি জমান। ২০০৫ সালে দেশে ফিরে এসে বিয়ে করেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে এসেছিলেন।
বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ চৌধুরী জানান, হাসান তিন পুত্র সন্তানের জনক। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে হাসান ছিল সবার বড়।
হাসানের মৃত্যুর খবরে মা-বাবা, স্ত্রী-পুত্রসহ স্বজনেরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।