সৌজন্য কপিতে বাজার সয়লাভ!

68

বছরের শুরুতেই কোমলমতি শিশুদের হাতে বিনামূল্যে রং বেরং এর বই তুলে দিয়েছে সরকার। তারপরও কুতুবদিয়ায় ব্যাঙের ছাতারমত গড়ে উঠা কেজি স্কুল গুলোতে কমিশনসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওইসব কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিম্নমানের প্রকাশনীর নানা নামের রং বেরং এর গাইড বই ক্রয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি এসব লাইব্রেরীতে প্রকাশনী কর্তৃক বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দেয়া সৌজন্য সংখ্যাও বিক্রি করা হচ্ছে চড়া দামে। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি শিক্ষা অফিসার উমর ফারুকের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, সরকারিভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি কেজি স্কুল গুলোতে চাহিদা মোতাবেক বই বিতরণ করা হয়েছে। কেজি স্কুলগুলোতে পাঠ্য বইয়ের বাহিরে অতিরিক্ত বই ক্লাসে পড়ার নিয়ম নাই। যদি এসব অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেছেন, দ্বীপের বিভিন্ন কেজি স্কুলের নার্সারী শ্রেণির জন্য ৫ থেকে ৭টি বই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি শ্রেণি সমূহে সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫টি পাঠ্য ধরে দেওয়া হয়েছে। সেই বই গুলো কেনার জন্য নির্দিষ্ট বইয়ের দোকান ধরে দেয়া হয়েছে। আর সেখানে বই কিনতে গেলেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে অভিভাবকরা। অভিভাবকরা আরো জানান, উপজেলা সদরে থাকা লাইব্রেরীর গুটি কয়েক মুনাফালোভী ব্যবসায়ী শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বই বিক্রি করে দেয়ার শর্তে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। তাদের দেয়া কমিশনসহ বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা কিন্ডার গার্টেনগুলো কোমলমতি শিশুদের নিম্ন মানের বই চড়া দামে কিনতে বাধ্য করছে। আর চড়া দামের এই সব বই কিনতে হিমশিম খাচ্ছে গরীব দূঃখী অভিভাবকেরা। বড়ঘোপ এলাকার আক্কাস উদ্দিন নামের এক অভিভাবক জানান, তিনি ভাতিজার জন্য মেডিকেল গেইটের একটি বইয়ের দোকান থেকে নার্সারি জন্য (৫টি) এক সেট বই কিনেছে ৪৪০ টাকায়। তাও আবার বই গুলোর মূল্যের জায়গায় হাতের লেখা। তিনি অভিযোগ করেন, বইয়ের মূল্য হাতে লিখে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বইয়ের দোকানদার। চাইল কেয়ার একাডেমির কেজি ওয়ান এর ছাত্র জাওয়াতুল আফনান জীবনের অভিভাবক জাহাঙ্গির আলম জানান, সরকারি পাঠ্য বই ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্টভাবে ধরে দেয়া হাসপাতালের গেইটের বিসমিল্লাহ লাইব্রেরী থেকে এক সেট (৬টি) বই কিনেছেন ৪৫০টাকা দিয়ে। ঔ লাইব্রেরীতে কেবলই এ বইগুলো পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের সাথে মোটা অংকের চুক্তি থাকায় ঐ লাইব্রেরী থেকে প্রতিষ্ঠানের ধরে দেয়া বইয়ের মূল্যে কিনতে হচ্ছে। বিছমিল্লাহ লাইব্রেরীর মালিক তোফায়েল আহমদের সাথে কথা হলে তিনি বই বিক্রির কথা শিকার করেন।