সোয়া লাখ টাকা জরিমানা আদায় একজনের জেল

30

ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর দায়ে মো. সাগর (২০) নামে একজনকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে বিআরটিএ চট্টগ্রামের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও ৩৪টি মামলা, ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায়, ১৯টি কাগজপত্র জব্দ এবং ৯টি গাড়ি ডাম্পিং করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিআরটিএ চট্টগ্রামের পৃথক ৩টি আদালত এসব জেল-জরিমানা করে।
জানা যায়, বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর জামালখান বাজার মোড় ও দেওয়ানহাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ২৪টি মামলায় ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করায় এক চালককে এক মাসের কারাদন্ড ও ৫টি মোটরযানের কাগজপত্র জব্দ করা হয়। কারাদন্ড প্রাপ্ত টেম্পো চালকের নাম মো. সাগর। সে ফরিদপুরের গৌরীপুর এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে। ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে সে গাড়ি চালিয়ে আসছিলো।
এ বিষয়ে কথা হলে বিআরটিএ চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ২৪টি মামলায় মোট ৯৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একজনকে একমাসের জেল দেওয়া হয়েছে। নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা এবং ভুয়া লাইসেন্স প্রদশন করায় তাকে জেল দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালানো, সিগনাল না মানা ইত্যাদি অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে মুরাদপুর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে একটি মামলা দায়ের করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ৯টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করে ড্রাম্পিংয়ে নেওয়া হয় ৯টি গাড়ি।
অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার নেতৃত্বে দুই নম্বর গেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়। ২১ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ও ৫টি গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হয়।