সোশ্যাল মিডিয়ার কথায় রাষ্ট্র চলবে না : নওফেল

44

ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে ঢাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়ার যে রব ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে, সে দাবি নাকচ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রয়াত সদস্যদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ার কথা শুনে আমরা রাষ্ট্র চালাব না’।
এবার ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর তা সারাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। অর্ধ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে আসার পর এডিস মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ডেঙ্গু থেকে শিশুদের রক্ষায় ফেসবুকসহ সোশাল মিডিয়ায় অনেকে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের দাবি আসছে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার। কিন্তু কোনো সায়েন্টেফিক প্রমাণ নাই যে বিদ্যালয়গুলোতেই এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। বরং বাসা-বাড়ির চেয়ে বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বন্ধ করবে না। আমরাও (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করব না’।
ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নওফেল বলেন, ‘বাসা-বাড়ি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। আগে আমাদের জন্য ম্যালেরিয়া বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটি আমরা মোকাবেলা করেছি। ডেঙ্গুও মুক্ত হবে’। খবর বিডিনিউজের
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র সেবামূলক কর্মকান্ডের আওতায় সংগঠনের প্রয়াত সদস্য সন্তানদের মাঝে ‘শিক্ষা বৃত্তি-২০১৯’ প্রদান করা হয়। বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান শিক্ষা পরিবারের সহযোগিতায় এ বছর প্রয়াত ২০ সদস্যদের সন্তানদের মাসিক পরিবার প্রতি ৩ হাজার টাকা হারে বার্ষিক এককালীন ৩৬ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর কল্যাণ সম্পাদক কাওসার আজম।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রয়াত সফিউল আলম রাজার ছেলে মো. শাহরু মোস্তাকি ও তৌফিক উদ্দিনের মেয়ে নুসরাত তৌফিক।

অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত পথিক সাহার ভগ্নিপতি সাংবাদিক আশীষ কুমার দে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ণ সম্পাদক এইচ এম আকতার, কার্যনির্বাহী সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ।