সোনার মঞ্চে যেতে বাংলাদেশের যে হিসাব

24

সোনা জয়ের আশা নিয়ে কাঠমান্ডু যেয়ে এখন কঠিন সমীকরণের মারপ্যাঁচে পড়ে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। সাউথ এশিয়ান গেমসে নিজেদের তৃতীয় স্বর্ণ জয়ের স্বপ্নে হিমালয় সমান চাপ লাল-সবুজদের জন্য। গ্রæপপর্বের শেষ ম্যাচে কেবল জিতলেই চলবে না, ফাইনালে যেতে হলে ১৯৯৯ ও ২০১০ সোনাজয়ীদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের ম্যাচের দিকেও।
বড় আশা নিয়ে আসরে নেমে প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। যে ভুটানকে কিছুদিন আগে নিজেদের মাঠে হেসেখেলেই হারিয়েছিল জেমি ডের শিষ্যরা, সেই দলটার যুবাদের কাছে ১-০ গোলে হেরে বসে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে লম্বা সময় এগিয়ে থেকেও ম্যাচ শেষ হয়েছে হতাশা দিয়ে, ১-১ গোলের ড্রয়ে।
প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট পাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। বৃহস্পতিবার তাতে লঙ্কানদের ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন এখনও পর্যন্ত টিকে আছে জামাল ভূঁইয়াদের জন্য।
৩ ম্যাচে ১টি করে জয়, হার ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে বাংলাদেশ। সোনার পদকের লড়াইয়ে যাওয়ার আশা এখনও টিকে আছে। সেজন্য শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে তো হবেই, জিততে হবে বড় ব্যবধানেও। কারণ আগের তিন ম্যাচে লাল-সবুজদের গোলের খাতায় ব্যবধানে লেখা আছে বিশাল এক শূন্য!
অন্যদিকে ভুটান ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। স্বাগতিক নেপাল ২ ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্টে দুইয়ে। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের পয়েন্ট ২ করে।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এ প্রতিযোগিতায় আগামী রোববার বাংলাদেশ নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হবে। নেপাল নিজের তৃতীয় ম্যাচে শুক্রবার মালদ্বীপের বিপক্ষে জিতলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। কামনায় থাকতে হবে শনিবার যেন শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় ভুটান। আর ভুটান ও নেপাল যদি নিজ নিজ ম্যাচে জিতেই যায় তখন কেবল শেষ ম্যাচে জিতলেই হবে না জামালদের, জিততে হবে ৪ থেকে ৫ গোলের বিশাল ব্যবধানে। স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে এ জয় পাওয়াটা বেশরকম কঠিনই বলা চলে!