উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্মিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত শ্হাছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) ভান্ডারীর ১১৫তম বার্ষিক ওরশের প্রধান দিবস আজ রবিবার। এ উপলক্ষে আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে কর্মসূচি। গতকাল শনিবার গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.) এর রওজা শরীফে গোসল ও গিলাফ চড়ানোসহ বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
ওরশ উপলক্ষে আলোসজ্জা করা হয়েছে হযরত আহমদ উল্লাহ (ক.) রওজাসহ অন্যান্য রওজা এবং মঞ্জিলগুলো। মাইজভান্ডার এলাকা এখন লোকে লোকারণ্য। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আশেক-ভক্তরা ছাড়া উপমহাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যোর বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্তরা এসেছেন। লাখো আশেক, ভক্ত, মুরিদান, জায়েরীনদের সার্বিক নিরাপত্তায় ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১জন ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, আনসার, স্ব স্ব মঞ্জিলের স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে সাজ্জাদানশীন-এ-দরবারে গাউছুল আজম আলহাজ শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারীর আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর ৯ম দিন গতকাল শনিবার রওজা শরীফে গিলাফ চড়ানো, মিলাদ,তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া ও জিকির মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন শাহ ছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী। এছাড়া বাদে মাগরিব থেকে পবিত্র খতমে কোরআন, শাহ ছুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (ক.) জীবন, কর্ম, শিক্ষা ও তাছাউফ ভিত্তিক আলোচনা এবং ছেমা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
হযরত মওলানা শাহ ছুফী সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারীর (শাহ এমদাদীয়া) কেন্দ্রীয়, মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখার কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্দ।