সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ওরশের আখেরী মোনাজাত আজ

845

এশিয়া উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলীয়ে কামেল আধ্যাত্নিক সাধক, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত শ্হাছুফী মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ (ক.) মাইজভান্ডারীর ১১৪তম বার্ষিক ওরশের প্রধান দিবস আজ ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে ফটিককছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফে মহাসমারোহে আখেরী মোনাজাত’র মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হবে। গত বুধবার থেকে ওরশের ৩দিন ব্যাপী কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দিনে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, নাতে মোস্তফা পরিবেশন, শানে গাউছিয়া পরিবেশন, মিলাদ মাহফিল, জিকির, ছেমা মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (ক.) এর রওজা শরীফে গোসল শরীফ ও গিলাফ চড়ানোর ব্যবস্থা করাসহ বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিভিন্ন মনজিলের পক্ষ থেকে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন আঞ্জুমানে মোত্তাবিয়ানে গাউছে মাইজভান্ডারী শাহ্ এমদাদিয়ায় শাহ্জাদা সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী, গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে শাহ্জাদা সৈয়দ ডা. দিদারুল হক মাইজভান্ডারী, গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলে শাহ্জাদা আলহাজ মাওলানা সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গাউছিয়া মঈনিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলে শাহজাদা আলহাজ সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী ও গাউছিয়া হক মঞ্জিলে শাহজাদা সৈয়দ হাসান মাইজভান্ডারী। পরিদর্শনে দেখা গেছে, ওরশ উপলক্ষে আলোসজ্জা করা হয়েছে হযরত আহমদ উল্লাহ (ক.) রওজাসহ অন্যান্য রওজা এবং মঞ্জিল গুলো। মাইজভান্ডার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ আশেকানে মাইভান্ডারী ভক্তরা ছাড়াও উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যোর বিভিন্ন দেশ থেকে মাইজভান্ডারী ভক্তরা এসেছেন বলে দরবার সূত্রে জানিয়েছে। ওরশে আগত লাখো লাখো আশেক, ভক্ত, মুরিদান, জায়েরীনদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১জন ম্যাজিষ্টেট’র পাশাপাশী ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, স্ব স্ব মঞ্জিলের স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ওরশ শরীফে ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরা ও ভিডিও চিত্র ধারণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরধারী করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মাধ্যমে নাজিরহাট থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ পর্যন্ত আসার রাস্তায় সার্বক্ষণিক লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়। ওরশ উপলক্ষে সমগ্র এলাকা জুড়ে গ্রামীন মেলা বসেছে।