সেলফি লীগ ও ফেসবুক লীগ থেকে দূরে থাকুন

90

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে আমরা দলকে পরিষ্কার করার কাজে হাত দিয়েছি। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনসমূহ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো থেকে আগাছা-পরগাছা দূর করতে হবে। ইদানিং কিছু অতি উৎসাহী ফেসবুকে দল পরিচালনা করছে। সেলফি লীগ ও ফেসবুক লীগ থেকে দূরে থাকতে হবে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মহানগর তাঁতী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তাঁতী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা এক সময় আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করেছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করেছে, তাদের অনেকে নানা পরিচয়ে এবং পরিচয় গোপন করে সংগঠনে ঢুকে পড়েছে। তাদের চিহ্নিত করে সংগঠন থেকে বের করে দিতে হবে। তারা যেন ভবিষ্যতে কোনো পদ না পায় সেজন্য তাঁতী লীগের মহানগর কমিটি গঠনে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনীতির মাঠে এখন বিগত যৌবনা। কারণ রাজনীতিতে যত যশ ও প্রতিপত্তি ছিল সেটি তাদের হারিয়ে গেছে। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, তারা এখন সবাই রাজনীতির মাঠে বিগত যৌবনা। সে কারণে তাদের ডাকে কেউ সাড়া দিচ্ছেন না এবং তারা যে কথাগুলো বলছেন এগুলো সাধারণ মানুষের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের তাঁতীদেরকে সংগঠিত করার জন্য এই সংগঠনের সৃষ্টি করেছিলেন। সে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনগুলোতে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। সুসংগঠিত সংগঠন হিসেবে তাঁতী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছে। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা সম্মেলনের আয়োজন করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখিয়েছেন। এই রাজনৈতিক সৎসাহস, সদিচ্ছা এবং নিজের রাজনীতির উপরে আত্মবিশ্বাস না থাকলে এই সৎসাহস সবাই দেখাতে পারেন না।
ব্যারিস্টার নওফেল দলের নেতা-কর্মীদেরকে কোন ভাইয়ের রাজনীতি নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করার আহব্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণ সাধন করার নাম রাজনীতি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের যে কোনো পর্যায়ের নেতা কোনো অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত হোক, সেটা আমরা চাই না। যারা এসব কাজে জড়িত আছেন তাদের চিহ্নিত করে এবং তারা যাতে কোনো পন্থায় কোনো পদ ও পদবীতে আসতে না পারে সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।
মহানগর তাঁতী লীগের আহব্বায়ক নুরুল আমিন মানিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কার্যকরি সভাপতি সাধনা দাশগুপ্তা, সহ-সভাপতি কেএম শহীদুল্লাহ, আবদুল হক রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোন্তাজ উদ্দীন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দীন মোল্লা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহানারা মোসাদ্দেক, কার্যকরি সদস্য জেমস ডি সিলভা, আজাদ ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম সোহেল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব রত্নাকর দাশ টুনু।
তাঁতী লীগ মহানগর নেতা হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, মো. সরোয়ার সরকার ও সুকান্ত মহাজন টুটুলের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সরফরাজ নেওয়াজ মাসুদ, সহিদ উদ্দিন, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. আবু বক্কর, এহছানুল আজিম লিটন, রায়হান চৌধুরী, এসএম কামাল, মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য এসএম আহছানুল কবির চৌধুরী টিংকু, মো. সরোয়ার্দী, মো. সরোয়ার সরকার, শহিদুল ইসলাম (জীবন), জয়ন্ত বণিক, রূপক চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।